বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:: বহুদিনের দাবি সন্দেশখালি একমাত্র বাঁশের সেতু পাকা করতে হবে। সেই দাবি এবার আরও সোচ্চার হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি দুই নম্বর ব্লকের হালদারপাড়া এলাকায় একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম, একটি বাঁশ ও কাঠের সেতু। সেটি আজ বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সেতুটি ভাঙাচোরা হয়ে পড়েছে। সেতুর কাঠ ও বাঁশে পচন ধরেছে, নড়বড়ে হয়ে গেছে কাঠামো। স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে প্রতিদিন সেই সেতু পার হচ্ছেন, যেন প্রাণ হাতে নিয়ে। এই সেতু পার হয়ে কয়েকটি গ্রামের শতাধিক মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রীরাও এই সেতু দিয়েই বিদ্যালয়ে যাতায়াত করে। বর্ষার সময় তো সেতু পার হওয়াই যেন মৃত্যু ফাঁদে পা দেওয়ার মত। কোন ধরনের হাতল না থাকায় পা হড়কে জলেও পড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে প্রতিনিয়ত।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এই এলাকার মানুষের কাছে এই সেতুটি শুধু একটি কাঠামো নয়,বরং জীবনের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত একটি অবলম্বন। যাতায়াত, বাজার করা, স্কুল-কলেজে যাওয়া—সব কিছুর সঙ্গেই এই সেতুটি অপরিহার্য। অথচ দীর্ঘদিন ধরে এই গুরুত্বপূর্ণ সেতুটির সংস্কারে কোন সরকারি হস্তক্ষেপ দেখা যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, বহুবার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও কোন স্থায়ী সমাধান আসেনি। তাই এবার তাদের জোরাল দাবি, অবিলম্বে এই বাঁশের সেতুকে পাকা করে পুনর্গঠন করা হোক, যাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আর যাতায়াত করতে না হয়। বর্ষা এলেই দুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়, বিশেষ করে স্কুলগামী ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের জন্য। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পৌঁছনোর পথও এই সেতু। অসুস্থদের কাঁধে নিয়ে এই ভাঙা সেতু পার করা কার্যত অসম্ভব। প্রশাসনের তরফে কবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। তবে গ্রামবাসীরা এবার আর চুপ থাকতে রাজি নন। তাদের মতে, “নির্বাচনের সময় ভোট চাইতে সবাই আসে, কিন্তু এই সেতুর খোঁজ কেউ রাখে না।”