বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শুরু থেকেই দাপট শুরু গরমের। শুধু বাংলা নয় দেশের বেশির ভাগ অংশেই তাপমাত্রার পারদ উর্ধ্বমুখি। গরমে হাঁস ফাঁস অবস্থা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের।
বিশেষ করে দিনের বেলায় বাড়ি থেকে বেরোলেই যেমন যেম গায়ে আগুনের ছাঁকা দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আশঙ্কার কথা শোনাল আবহাওয়া দপ্তর।
আইএমডি পুণের পক্ষ থেকে ১৪ মার্চ থেকে ১০ এপ্রিলের মধ্যে যে পরিসংখ্যান পেশ হয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ভারতে ১২৫ জেলায় খরার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে চলতি বছরে। অধ্যাধিক গরম এবং বৃষ্টি না হওয়ার জন্যই দেশের ১২৫ জেলায় খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে বলে আইএমডি পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালে এই সময় খরার মতো পরিস্থিতি ভারতে গত বছর ৩৩ টি জেলার থেকে এবার বেশি সংখ্যক জেলা রয়েছে এই তালিকায়।
যে সমস্ত রাজ্যে জেলাগুলি এই খরা পরিস্থিতির মধ্যে পড়তে পারেন সেগুলি, অন্ধ্রপ্রদেশ, অরুণাচল প্রদেশ, গুজরাত, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, জম্মু ও কাশ্মীর, কর্ণাটক, মহারাষ্ট্র, উত্তরাখণ্ড, তামিলনাড়ুর জেলা। এই এলাকাগুলির ১২৫ জেলা শুষ্ক থেকে শুষ্কতম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে
বৈশাখের শুরুতেই হাঁসফাঁস গরম বাংলাতে। বিশেষ করে দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা খুবই করুণ। দক্ষিণবঙ্গের আট থেকে দশটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। বিশেষত পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির উপরে চলে যেতে পারে। এই পরিস্থিতিতে দুপুরে ৫ ঘণ্টা সতর্ক হয়ে বেরোনোর পরামর্শ দিয়েছে হাওয়া অফিস। সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টে অবধি খুব দরকার না হলে বাড়ির বাইরে না বেরোনোই ভাল বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
আমাদের রাজ্যের অবস্থা কী হতে পারে? আইএমডির বিজ্ঞানী বলছেন, এই ১২৫ জেলার পাশে একেবারে উল্টো মেরুতে রয়েছে ১৬ টি রাজ্য। আর তাতে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অরুণাচল প্রদেশ, বিহার, ছত্তিশগড়, পশ্চিমবঙ্গে আর্দ্রতা রয়েছে। ফলে এখানে খরা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
আগের বছরেই বলা হয়েছিউল এল নিনোর প্রভাবে তাপমাত্রা দ্রুত হারে বাড়তে থাকবে ভারতে। ২০২৪ সালেও এল নিনোর প্রভাবে প্রবল তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস আছে। ২০১৫ সালে এমন এল নিনোর কব্জায় পড়েছিল ভারত। প্রচণ্ড খরায় শুকিয়ে গিয়েছিল দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বহু এলাকা। সে বছর সারা দেশে বৃষ্টিপাতের পরিমাণও কমে গিয়েছিল উল্লেখযোগ্য ভাবে। ২০০৯ সালেও এল নিনোর প্রভাবে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহের কষ্ট পেতে হয়েছিল দেশের মানুষজনকে। পূর্ব ও মধ্য প্রশান্ত মহাসাগরে জন্মানো ‘এল নিনো’ বড়সড় প্রভাব ফেলেছিল ভারতের বর্ষার মরশুমে।