বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আইএসএফের সঙ্গে বামফ্রন্টের দূরত্ব বাড়ছে? জোট প্রক্রিয়া কি আর সেই অর্থে নেই? সিপিএম প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আইএসএফ – এরও প্রার্থী রয়েছে। শুধু তাই নয়,আসন দাবি করছেন নওশাদ সিদ্দিকী।
মুর্শিদাবাদ আসন থেকে সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ সেলিম ভোটে লড়ছেন। এদিকে ওই কেন্দ্রে আগেই আইএসএফ প্রার্থী করেছে হাবিব শেখকে। শ্রীরামপুর আসনে সিপিএমের প্রার্থী দীপ্সিতা ধর। সেখানে আইএসএফ প্রার্থী করেছে শাহরিয়ার মল্লিককে।
এদিকে আইএসএফের সঙ্গে আসন সমঝোতাও এখনও হয়নি বামেদের। এই অবস্থায় নওশাদ সিদ্দিকীর কথায় এই জোট সম্পর্ক নিয়ে অস্বস্তি আরও বাড়ল। সংবাদ মাধ্যমে নওশাদ জানিয়েছেন, রায়গঞ্জে প্রার্থী প্রয়োজনে তুলে নেওয়া হবে। তবে সেক্ষেত্রে শ্রীরামপুরে তাদের লড়তে দিতে হবে।
অর্থাৎ দীপ্সিতা ধরকে নির্বাচনী লড়াই থেকে সিপিএম সরিয়ে নেবেন। এবার এই বিষয় নিয়েই বেশ চাপানউতোড় শুরু হয়েছে। এজন্য বামেদেরই দায়ী করছেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী। আর এখানেই সিপিএমেরও যথেষ্ট ক্ষোভ বাড়ছে অন্দরে। আইএসএফ কি দর কষাকষির রাজনীতি শুরু করল? এই প্রশ্ন উঠছে।
২১ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে সিপিএম। বাকি ২১ টি আসনে কংগ্রেস, অন্যান্য বাম শরিক দল ও আইএসএফ প্রার্থী দেবে বলে ছেড়ে রাখা হয়েছে। এদিকে আগেই আটটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে বসে আছে আইএসএফ। ফলে কে পিছু হটবে? কতটা আসন সমঝোতা হবে? সেইসব প্রশ্ন উঠছে?
কংগ্রেস সরাসরিভাবে রাজ্যে আইএসএফের সঙ্গে জোটে যায়নি। ফলে কংগ্রেস ও আইএসএফ কি আসন সমঝোতা করবে? মেনে নেবে একে অপরের বার্তা? সেই প্রশ্ন উঠছে।
বাম – কংগ্রেস – আইএসএফ আসন সমঝোতা কতটা বাস্তবায়িত হবে? আর দুই সপ্তাহ পরেই প্রথম দফার ভোট শুরু হয়ে যাচ্ছে। সেখানে কতটা এই বিবাদ মেটানো যায়? প্রশ্ন উঠছেই।