বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দাঁড়িভিট মামলায় কোনও অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ নয়। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ অযৌক্তিক মনে হয় না, মন্তব্য প্রধান বিচারপতির। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ কার্যকর করতে হবে রাজ্যকে। এমনটাই নির্দেশ প্রধান বিচারপতির। যাবতীয় তথ্য সিআইডি যাতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দেয় তার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। পাশাপাশি আহতদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন তিনি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৫ মে।
প্রসঙ্গত, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে দাঁড়িভিট নিয়ে কোনও তথ্য না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয় সিঙ্গল বেঞ্চ। রাজ্যের মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব ও ডিআইজি সিআইডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি হয়। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করে রাজ্য। সেই মামলাতেই এদিন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
গতমাসে শুনানির সময় বিচারপতি মান্থা গত ১০ মাস এনআইএ তদন্তের নির্দেশ কার্যকর না হওয়ায় আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ-র হাতে নথি তুলে না দেওয়ায় এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে আর্থিক সাহায্য না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি।
২০১৮-র ২০ সেপ্টেম্বর শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিট। ছাত্র-পুলিশের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ হয়। রাজেশ সরকার ও তাপস বর্মন নামে দুই ছাত্রের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের লোকেদের দাবি ছিল পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে দুই ছাত্রের। তাঁরা প্রথম থেকেই ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি করেছিলেন। পাশাপাসি দুই ছাত্রের দেহ দাহ না করে নদীর ধারে কবর দিয়ে রেখেছিলেন।
যদিও রাজ্য সরকার সেই দাবি মানতে চায়নি। সিআইডি দাঁড়িভিট কাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। এর বিরুদ্ধে দুই ছাত্রের পরিবারের তরফে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়। কলকাতা হাইকোর্ট ২০২৩-এর ১০ মে ঘটনার এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেয়। সিআইডিকে যাবতীয় কাগজ এনআইএ-র হাতে তুলে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয়। কিন্তু পরবর্তী ১০ মাসেও সেই নির্দেশ কার্যকর করা হয়নি।