বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক : আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে কেরলের ওয়ানাড থেকে রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার তীব্র সমালোচনা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। কেরলে তিনি ঠিক কার সঙ্গে লড়াই করছেন, এই প্রশ্ন করে বিজয়ন বলেছেন, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট অর্থাৎ এলডিএফের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি ওয়ানাডে আসছেন। কেরলের ২০ টি আসনে নির্বাচন হতে চলেছে ২৬ এপ্রিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এলডিএফ কেরলে ইন্ডিয়া ব্লকের অংশ। মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করেছেন, কেরলে রাহুল গান্ধী কার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন? বামেরা কি বলতে পারে, তিনি করলে কে সুরেন্দ্রনের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন? বামেরা কি বলতে পারে, রাহুল গান্ধী বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে কেরলে? তিনি (রাহুল) এলডিএফের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই কেরলে বলে দাবি করেছেন বিজয়ন।
পিনারাই বিজয়ন বলেছেন, কংগ্রেস এবং রাহুল গান্ধী আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে যেখান থেকে খুশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। তবে রাহুল গান্ধীর কেরল থেকে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সবাই প্রশ্ন তুলছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কেন্দ্রে সরাসরি বিজেপির বিরুদ্ধে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, কেন্দ্রে বিজেপি যাতে টানা তৃতীয়বার সরকার গড়তে না পারে, তা নিশ্চিত করতেই ইন্ডিয়া ব্লক তৈরি করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, ওয়ানাডে এবার সিপিআই প্রার্থী প্রবীণ নেত্রী অ্যানি রাজা। তিনি সিপিআই-এর শীর্ষ নেতা ডি রাজার স্ত্রী। বিজয়ন অ্যানি রাজার বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীর প্রতিন্দন্দ্বিতা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আমেথি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে গেলেও, ওয়ানাড থেকে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। এবার রাহুল দ্বিতীয়বার লড়াই করতে চলেছেন। এই সিদ্ধান্তে কেরলের বামেরা তথা মুক্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন এতটাই ক্ষুব্ধ যে তিনি মণিপুরে হিংসা নিয়ে রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেছেন। তিনি বলেছেন, মণিপুর ইস্যুতে অ্যানি রাজা জোরালো প্রতিবাদ করায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকার তাঁকে দেশবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করেছিল। সেখানে মণিপুর নিয়ে রাহুল গান্ধীর ভূমিকা কী, প্রশ্ন করেছেন পিনারাই বিজয়ন।
প্রসঙ্গত মণিপুর ইস্যুতে কংগ্রেস লোকসভায় রাজ্য সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করেছিল। এব্যাপারে কংগ্রেস বারে বারে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছে। পরবর্তী সময়ে রাহুল গান্ধী মণিপুর থেকে ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা শুরু করেছেন। যা বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে দিয়ে মহারাষ্ট্রে গিয়ে শেষ হয়েছে।