বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে সিএএ চালু করে দিয়ে বড় চমক দিয়েছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃ্ত্বাধীন এনডিএ সরকার। সিএএ। এই আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো মুসলিম ধর্মাবলম্বী দেশ থেকে যদি সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে এ দেশে আসা মানুষদের শুধু আশ্রয়ই নয় একইসঙ্গে নাগরিকত্বও দেবে ভারত।
সিএএ লাগু হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। কীসের ভিত্তিতে নাগরিকত্ব পারেন পড়শি থেকে ধর্মীয় উৎপীড়নের জন্য চলে আসা মানুষরা। কোন কোন নথি তাদের জমা করতে হবে ভারত সরকারের কাছে। সেই সংক্রান্ত তথ্যই তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের একজন হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টান, যারা ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ আগে ভারতে প্রবেশ করেছিল, তারা এখন এই দেশগুলির বৈধ পাসপোর্ট বা ভারত থেকে বৈধ ভিসা তৈরি না করেই ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইতে পারে। নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ বা সিএএ-তে সেই কথাই উল্লেখ করা আছে।
সিএএ-র নিয়মে উল্লেখ করা হয়েছে, , “যে কোনও নথি” যা প্রমাণ দেয় যে আবেদনকারীর বাবা-মা, দাদা-দাদি বা এমনকি প্রপিতামহের মধ্যে একজন এই দেশগুলির মধ্যে একজন ছিলেন তা তাদের জাতীয়তা প্রমাণের জন্য যথেষ্ট। এবং ভিসার পরিবর্তে, এমনকি স্থানীয় সংস্থার একজন নির্বাচিত সদস্য দ্বারা জারি করা একটি শংসাপত্রই যথেষ্ট হবে।
সিএএ আইন ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পাস করা করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তা লাগু করা হল লোকসভা ভোটের ঠিক আছে। এই নির্দেশিকাতে তিনটি দেশের(পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান) সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদানের প্রক্রিয়া সহজ করেছে। এই আইনের ফলে তিনটি দেশের হাজার হাজার অমুসলিম অভিবাসীদের উপকৃত হতে পারে। যারা ভারতীয় নাগরিকত্ব চাইছেন। এখন পর্যন্ত, এই অভিবাসীরা হয় ভারতে অবৈধভাবে বা দীর্ঘমেয়াদী ভিসায় বসবাস করছিলেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ মোদী সরকার সোমবার নাগরিকত্ব (সংশোধনী) বিধিমালা, ২০২৪ জারি করেছে৷ এই নিয়মগুলি এখন পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানে ধর্মীয় ভিত্তিতে নির্যাতিত সংখ্যালঘুদের আমাদের দেশে নাগরিকত্ব অর্জন করতে সক্ষম করবে৷ এই বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী জি আরও একটি প্রতিশ্রুতি করলেন এবং সেইসব দেশে বসবাসকারী হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের প্রতি আমাদের সংবিধান প্রণেতাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা।’
লোকসভা ভোটের আগে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ তাস খেলল বিজেপি। চার বছর আগে আইনে পরিণত হয়েছিল সিএএ। আইনে পরিণত হলেও প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে সিএএ-র ধারা-উপধারা যুক্ত হয়নি। ফলে বাস্তবে এই আইন কার্যকরও হয়নি। সোমবার সিএএ নিয়ে নোটিফিকেশন জারি করল কেন্দ্র।
সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, যাঁরা আবেদন করতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা ফর্ম। যেমন, শিশুদের ক্ষেত্রে আলাদা ফর্ম, অন্য দেশ থেকে এসে আবেদন করলে আলাদা ফর্ম। আবার বাব বা মা, কেউ ভারতীয় বলে যাঁরা নাগরিকত্বের দাবি জানাতে চান তাঁদের জন্য পৃথক আবেদনের প্রক্রিয়া। এমন সাত রকমের ফর্ম রয়েছে।