বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বছরের শুরু থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে সন্দেশখালি এলাকা। বসিরহাট কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস কাকে প্রার্থী করবে? তাই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা ছিল। সাংসদ নুসরত জাহানকে নিয়ে বহুবিধ বিতর্ক রয়েছে। নুসরতকে ফের বসিরহাট কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হবে? সেই জল্পনা বাড়ছিল। দেখা গেল হাজি নুরুল ইসলামকে প্রার্থী করা হল তৃণমূলে।
এলাকার ভূমিপুত্র হলেন হাজি নুরুল ইসলাম। এক সময়ে বসিরহাট লোকসভা এলাকার সাংসদ তিনি ছিলেন। গোটা বসিরহাট এলাকার রাজনৈতিক মহল পরিচিত তাঁর কাছে। তিনি এখন বসিরহাট জেলা তৃণমূলের সভাপতি পদেও রয়েছেন। সেই হাজি নুরুলের উপরেই ভরসা রাখলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
সন্দেশখালি কাণ্ডে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করছে বিজেপি। সাংসদ নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। তিনি এলাকায় যান না। সাধারণ মানুষের সঙ্গে কোনও রকম জনসংযোগ করেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় রিল বানাতে তিনি ব্যস্ত। এমন একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের পক্ষ থেকে উঠে এসেছে।
এই পরিস্থিতিতে নুসরত জাহান তৃণমূলের হয়ে টিকিট পাবে? এই ক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠেছিল। দলের অন্দরেও নুসরতকে নিয়ে যথেষ্ট চর্চা চলছিল। শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী বদল করলেন। ভূমিপুত্র হিসেবে পরিচিত হাজি নুরুল ইসলাম। তাকেই ফের প্রার্থী করা হল এই কেন্দ্রে।
২০০৯ সালে হাজি নুরুল ইসলাম তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন। সেবার তিনি বিপুল ভোটে এই কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করেন। যদিও ২০১৪ সালে তিনি এই কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হননি। তাঁকে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর আসনে প্রার্থী করা হয়েছিল। যদিও ওই আসনে তিনি হেরে যান।
ইদ্রিস আলিকে ২০১৪ সালে প্রার্থী করা হয়েছিল। ওই কেন্দ্র থেকে ইদ্রিস আলি জিতেছিলেন। তবে ২০১৯ সালে ইদ্রিস আলিকে প্রার্থী করা হয়নি। তাকে সরিয়ে নুসরত জাহানকে প্রার্থী করা হয়। সংখ্যালঘ অধ্যুষিত কেন্দ্র বসিরহাট। ৪৯ শতাংশ সংখ্যালঘু বসবাস ওই কেন্দ্রে। তৃণমূল ওই কেন্দ্র জিতে এসেছে গত তিনবারের নির্বাচনে।
কিন্তু নুসরত জাহানের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। ফ্ল্যাট কেনাবেচা দুর্নীতিতে সাংসদের নাম জড়িয়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের মধ্যেও নুসরতকে নিয়ে যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে।
তাই এবার আর নুসরতকে প্রার্থী করা হল না। বরং ড্যামেজ কন্ট্রোলের জন্য ফের হাজি নুরুল ইসলামের উপর ভরসা রাখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিও এবার কিছুটা লড়াইয়ের সামনে পড়বে। এমন কথা অনুমান করা যাচ্ছে। কীভাবে প্রচার শুরু করেন হাজি নুরুল? সেদিকে এবার নজর রাখা হবে।