বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার! কার্যত নজিরবিহীন ভাবে এই প্রথম এহেন সিদ্ধান্ত। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী। গত কয়েক বছর ধরে সাড়ম্বরে রাজ্যজুড়ে এই দিনটাকে পালন করা হয়।
যদিও কোনও ছুটি রামনবমীতে (Ram Navami Holiday) দেওয়া হত না এতদিন। যা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন পর্যন্ত তুলেছে বিরোধীরা। সেখানে দাঁড়িয়ে ভোটের মুখে বড় পদক্ষেপ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। যে কোনও সময় ভোটের দিন ঘোষণা হতে পারে। আর তার আগে রাজ্য সরকারি কর্মীদের জন্য বড় উপহার।
ছুটির তালিকায় যুক্ত হল রামনবমীও। নবান্নের তরফে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, এখন থেকে রাজ্য সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে রামনবমীর দিন। তবে জরুরি পরিষেবা এর আওতায় নেই। এনআই অ্যাক্টে এদিন এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যে পালাবদলের পর থেকেই বাংলার একাধিক পরবে ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভোটের মুখে রামনবমীর ছুটি ঘোষণা নিয়ে ইতিমধ্যেম শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা তথা সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য বলেন, সামনেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই সময় কেন নবান্নের তরফে রামনবমীর দিন ছুটি ঘোষণা করা হল তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ এত বোকা নয়। ভোটের রাজনীতি বলে তোপ বঙ্গ বিজেপির।
অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ফেসবুক পোস্টে লিখছেন, ” সময় বদলাচ্ছে ! চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের নবমী তিথিতে শ্রী রাম নবমী উৎসবের দিন মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের সম্মানে এই প্রথম বার রাজ্য সরকার ছুটি ঘোষণা করলো। আমি জানুয়ারি মাসে রাম নবমীর দিন ছুটি না দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলাম, আজ রাজ্য সরকার বাধ্য হয়ে ছুটি ঘোষণা করলো”।
যদিও কুতসার রাজনীতি বিজেপি করছে বলে তোপ শাসকদলের। নেতৃত্বের দাবি, বিভিন্ন অনুষ্ঠানেই রাজ্যে ছুটি দেওয়া হয়। আদিবাসীদের করম পুজো হোক কিংবা মতুয়া মহাসঙ্ঘের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন, ছুটি পান সরকারি কর্মীরা। সেই তালিকায় রামনবমীর অনুষ্ঠানও যুক্ত করা হল, এতে রাজনীতির কোনও গন্ধ নেই বলেই দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ছুটি নয়, বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত রাজ্য সরকারী কর্মীরা। নতুন করে ফের ডিএ বৃদ্ধি করেছে মোদী সরকার। ফলে রাজ্যের সঙ্গে কেন্দ্রের ফারাক নতুন করে ফের অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ছুটি নয়, ডিএ মিটিয়ে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।