বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস শুক্রবার লোকসভা নির্বাচনের জন্য ৩৯ জনের প্রথম প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, রাহুল গান্ধীকে ফের কেরলের ওয়ানাড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত ২০১৯-এর নির্বাচনে রাহুল গান্ধী আমেথি ও ওয়ানাড দুই জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি আমেথি থেকে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। আর এবার তাঁকে আপাতত ওয়ানাড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের এই সিদ্ধান্তে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি আমেথি থেকে এবার গান্ধী পরিবারের বাইরে অন্য কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেই প্রশ্ন উঠছে।
আমেথি কেন্দ্র গান্ধী পরিবারের সঙ্গে কার্যত অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। ১৯৬৭ সালে আমেথি কেন্দ্রটি অস্তিত্ব লাভ করে। তারপর থেকে অধিকাংশ সময় কংগ্রেস বিশেষ করে গান্ধী পরিবারের কোনও না কোনও সদস্য সেই আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।
১৯৭৭ সালে প্রথমবার আমেথিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধী। তিনি ওই বছরে আমেথি থেকে পরাজিত হন। তবে ১৯৮০ সালের নির্বাচনে সঞ্জয় গান্ধী ওই আসন থেকে জয়ী হন। তবে ওই বছরে বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর পরে সেই ১৯৮০ থেকে মৃত্যুর বছর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত রাজীব গান্ধী আমেথির সাংসদ ছিলেন। রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পরে বন্ধু সতীশ শর্মাকে আমেথি থেকে প্রার্থী করে কংগ্রেস। তিনিও জয়ী হন ওই আসন থেকে।
১৯৯১-এর পরে ১৯৯৬ সালেও ওই আসন থেকে কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে সতীশ শর্মা জয়ী হন। কিন্তু ১৯৯৮ সালে সতীশ শর্মা আমেথি থেকে তৎকালীন বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় সিংয়ের কাছে হেরে যান। আবার ১৯৯৯ সালে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয়ী হন সনিয়া গান্ধী। এরপর ২০০৪ সালে সনিয়া গান্ধী ওই আসন রাহুল গান্ধীর জন্য ছেড়ে রায়বরেলিতে সরে যান। রাহুল গান্ধী পরপর তিন বার অর্থাৎ ২০০৪, ২০০৯ এবং ২০২৪ সালে ওই আসন থেকে জয়ী হন, কিন্তু ২০১৯-এর নির্বাচনে স্মৃতি ইরানির কাছে হেরে যান। আর এবার এখনও পর্যন্ত রাহুল গান্ধীর কিংবা গান্ধী পরিবারের কারও নাম আপাতত আমেথি থেকে নেই।
সেই কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, তাহলে কি ৩৩ বছর পর কংগ্রেস গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে আমেথি থেকে প্রার্থী করবে, সেই প্রশ্নই এখন উঠছে বিভিন্ন মহলে।