বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হুগলির দেবানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাজিডাঙা মৌজায় প্রায় পঁয়তাল্লিশটি পরিবারের বাস।বাসিন্দাদের অভিযোগ তারা জমি কিনেছিলেন ১৯৮৫ সালে।সরস্বতী দাস ছিলেন জমির মালিক।

 

ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে কাছে স্টেশন রোডের পাশের সেই জমির চাহিদা থাকায় অনেক সরকারি চাকুরেও সেই জমি কিনে বাড়ি করেন।জমির দলিল রয়েছে,ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে বাড়ি করেছেন কেই কেউ।এখন জানতে পারছেন বাসিন্দারা তাদের জমি খাস হয়ে গেছে।ভূমি দপ্তরের এক নম্বর খতিয়ানে রয়েছে কাজিডাঙা মৌজার ১১৯-১২৩ দাগ নম্বরের জমি।পঞ্চায়েতে খাজনা জমা দিতে গেলে খাজনা জমা নিচ্ছে না।নিজেদের টাকায় কেনা জমি আদৌ আর নিজের থাকবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন বাসিন্দারা।

 

চুঁচুড়া মগড়া বিএলএলআরও অফিসে গিয়ে খোঁজ নেন।সেখান থেকে কাজিডাঙায় গিয়ে এলাকার জমি পরিদর্শন করে দেখেন ভূমি দপ্তরের আধিকারীকরা।কিন্তু কেন এক নম্বর খতিয়ানে এই জমি তা বুঝতে পারেন না।কারন তাদের কাছে কোনো রেকর্ড নেই।আরটিআই করেও রেকর্ড পাওয়া যায়নি।পরে হুগলি জেলা অতিরিক্ত জেলা শাসক ভূমি দপ্তর অফিসে গিয়েও তারা জানার চেষ্টা করেন।
সেখানে আগামী ২৪ তারিখে তাদের যেতে বলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা শাসক তামিল অভিয়া এস কে এবিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বিএলএলআরও সুচেতনা পট্টনায়ককে ফোন করে বিষয়টি জানতে চান।

বাসিন্দা রনজিৎ সাহা বলেন, আমরা দুশ্চিন্তায় আছি।অনেকে আছেন যাদের বয়স হয়েছে ছেলে অন্যত্র থাকে বাড়ি বিক্রি করতে চাইছেন বিক্রি হচ্ছে না।দাম পাচ্ছেন না।কারন জমির এই অবস্থা হয়ে আছে।আমরা চাই এই সমস্যা মেটানো হোক।কারন জমি আমাদের হয়েও আমাদের না।এমন অবস্থার মধ্যে পরে আছি।

চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন,খাস জমি কি করে বিক্রি হয়েছে সেটা জানিনা।এটা একটা বড় চক্র হতে পারে।নথি দেখে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য বলব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *