বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ব্যান্ডেল স্টেশন রোডে যারা সবজি বিক্রি করেন তাদের জন্যই নাকি রাস্তায় যানজট হচ্ছে।পরীক্ষার্থীরা যেতে পারছে না।

 

আর চুঁচুড়া বিধায়ক অসিত মজুমদার স্থানীয় দেবানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রধান চুঁচুড়া মগরা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও পঞ্চায়েত সদস্যদের নিয়ে বাজার অভিযানে বের হন।ব্যান্ডেল স্টেশন রোড খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি রাস্তা।যে রাস্তার দুপাশে সবজির দোকান লাগিয়ে রুজি রুটি চলে বহু মানুষের।বছর পর বছর ধরে এভাবেই তারা ব্যবসা করছেন।তাদের অনেকেই স্থানীয় বাসিন্দা নন ভিন জেলা থেকেও আসেন।

 

 

বিধায়ক তাদেরকে গিয়ে রীতিমতো ধমকের সুরে বলেন কাল থেকে দোকান লাগানো যাবে না।পঞ্চায়েতের আবেদন করতে হবে তারপর বাজারের ভেতরে জায়গা দেওয়া হবে।রাস্তার পাশে কোনভাবেই দোকান দেওয়া যাবে না।বিধায় যখন দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন একজন ব্যবসায়ী বলেন অনেকেই তো দোকান দিয়েছে।বিধায়ক তার ওপর রেগে যান।পুলিশ ডেকে বলেন,”একে তোলো আমি পরে থানায় অভিযোগ দেব”।পুলিশ এসে ওই ব্যবসায়ীকে হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।তখন ব্যবসায় ভুল স্বীকার করেন বিধায়কের কাছে।তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
একজন এটা সামলাচ্ছিন বিধায়কের কথায় কান না দেওয়া তাকে বলেন,”আমি ছাগল নাকিরে”।
কেন হঠাৎ সব্জি বিক্রেতাদের তুলে দিতে চাইছেন,যাইহোক বলেন,আমরা আজকে পরিচ্ছন্নতা দিবস উদযাপন করছি।ব্যান্ডেলের ভিতরে একটা বাজার আছে।কিন্তু সেখানে কেউ বসবে না।যাদের বড় দোকান আছে তাদের সামনে রাস্তার উপরে টাকা দিয়ে তারা দোকান দিয়ে বসছে।নব্বই শতাংশ লোক বাইরে থেকে আসছে।গাড়ি যেতে পারে না অ্যাম্বুলেন্স যেতে পারে না স্কুলের বাচ্চারা যেতে পারে না।আমরা আজকে সবাইকে অনুরোধ করেছি।রাস্তা দখল করে বসা যাবে না।আমরা বলেছি পঞ্চায়েতে আবেদন করতে।বাজারের ভিতরে তাদের জায়গা দেওয়া হবে।আমি চাই মানুষের শুভ বুদ্ধি হোক।আমরা চেষ্টা করছি সুস্থ পরিবেশ ফিরে আসুক।সবাই উপার্জন করুক কিন্তু নিয়ম মেনে।কাল থেকে কোন অফ ব্যবস্থা চলবে না।চললে কি করে সেটা ব্যবস্থায় আনতে হয় আমরা জানি।
ভারতবর্ষে এরকম গরিব মানুষ অনেক আছে সেটা নরেন্দ্র মোদি বুঝবে।আমরা গরীবদের পক্ষে।জি টি রোড বড় রাস্তা। সেখানে বসুক না।
আবেদন করুক বাজারে জায়গা দেব।না শুনলে পুলিশি ব্যবস্থা আইনি ব্যবস্থা নেব।

বিজেপি হুগলী সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন,ব্যান্ডেল একটা বড় বাজার।সেখানে বেশি সংখ্যক লোকের আনাগোনা হয়।সামাল দেওয়ার কাজ হচ্ছে প্রশাসনের।তাহলে বিধায়কের প্রশাসন কি করছে।এদিকে নজর না দিয়ে বাজারে গিয়ে ধমকি দিচ্ছে।বুঝে ব্যবসা তুলে দিতে হবে।দীর্ঘদিন ধরে গরিব মানুষরা ব্যবসা করে খায়।চুঁচুড়ার বিধায়ক হকার উচ্ছেদে বিরোধিতা করেছিলেন বলেছিলেন তারা গরিব মানুষ।যারা বাজারে সবজি বিক্রি করছে তারা গরীব নয়।আসলে মাথা খারাপ হয়ে গেছে বিধায়কের।গত লোকসভা ভোটে চু্ঁচুড়ায় হেরেছেন।যে জায়গাগুলোতে ভোট পাননি সেই জায়গাগুলোকে টার্গেট করেছেন।একে তাকে ধমকি দিচ্ছে।বিনাশ কালে বিপরীত বুদ্ধি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *