বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কোনো ইভটিজিং এর ঘটনা তার নজরে পড়েনি।সাদা গাড়ির চালক তাদের দিকে তাকিয়ে ছিল,সুতন্দ্রার কথাতেই বাবলু যাদবের গাড়িকে ধাওয়া করছিল গাড়ি চালক রাজ দেও শর্মা।
তিনি জানান একশ কিমি গতিবেগে ছুটিছিল গাড়ি। নিয়ন্ত্রণ করতে না পারাতেই দূর্ঘটনা। সাদা গাড়ি তাদের ধাক্কা মেরেছিল।তখনই সুতন্দ্রা সেই গাড়িকে ধরতে বলে। সুতন্দ্রার চালক রাজ দেও বার বার চেষ্টা করে এগিয়ে গিয়ে সেই গাড়ি থামাতে।কিন্তু পারেনি।পরে জাতীয় সড়ক ছেড়ে লোকাল রোডে নেমে পরে সাদা গাড়ি।তার পিছনে সজোরে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়।সুতন্দ্রার মা তার মেয়ের মৃত্যুতে দুই গাড়ির সবাইকে দায়ী করেন।সবাইকে সন্দেহ করেন।
রাজ দেও জানান,এই দূর্ঘটনার জন্য তারও খারাপ লাগছে।গতকাল সেই প্রসঙ্গে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী বলেন, তাহলে আগে ঐরকম বয়ান দিয়েছিল কেন। এখন আবার নতুন করে এক ধরনের বয়ান। ওরা বলেছিল যদি মাঝখানে গাড়ি থামাতাম তাহলে ম্যাডামকে ওরা গাড়িতে থেকে নামিয়ে নিতো। এখন হঠাৎ করে এতটা কথার মধ্যে ফারাক আসছে সেটাই আমাকে ভাবিয়ে তুলছে।
আমার মেয়ে যদি বলে থাকে জোরে গাড়ি চালিয়ে ওই গাড়িটাকে ধরতে তাহলে একজন ড্রাইভারের কি কর্তব্য? চালকের উচিত ছিল যাত্রীদের সুরক্ষার কথা চিন্তা করা। মালিকের কথা শুনে জোরে গাড়ি চালিয়ে মালিককেই মেরে দিলেন! গাড়ি চালক বা অন্য যাত্রীরা আগে কখনোই বলেনি যে সুতন্দ্রা গাড়ি জোরে চালাতে বলেছিল। সত্য উদ্ঘাটনের জন্য সবাইকেই ধরতে হবে। কয়েক সেকেন্ডের সিসিটিভি ফুটেজ সত্য উদঘাটিত করতে পারবে না। গাড়ি ছুটেছে অনেকক্ষণ সেই ফুটেজ কোথায়। আমার একটাই দাবি দুটো গাড়িতে যারা যারা ছিল তাদের প্রত্যেককে তদন্তের আওতায় আনা হোক। হঠাৎ করে বয়ান বদলের কারণ কি? এরাই তো বলেছিল মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল কটুক্তি করছিল অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করছিল। কিন্তু যখন এফআইআর লেখা হল সেখানে তার উল্লেখ রইলো না। টাইপ করে ইংরেজিতে লেখা ছিল এফ আই আর। এইসব জিনিসের উত্তর চাই আমি।বাবলু যাদব যাদব কে গতকাল দুর্গাপুর আদালতে পেশ করার সময় সে জানায় যে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন তাই পালিয়ে গিয়েছিলেন। বাবলুর এই বক্তব্য প্রসঙ্গে সুতন্দ্রার মা তনুশ্রী চ্যাটার্জী বলেন , কারো দোষ না থাকলে সে ভয় পাবে কেন ? একটা দুর্ঘটনা হয়েছে দেখেও তিনি পালিয়ে গেলেন । মানুষের মধ্যে যখন কোন দোষ থাকবে তখনই সে ভয় পাবে। বাবলু একা ধরা পড়েছে তার সঙ্গে যারা ছিল তারা কোথায়? এতগুলো দিন পেরিয়ে গেল শুধুমাত্র একজন ধরা পড়ল বাকিরা এখনো অধরা কেনো।