বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:
সম্মানীয় বিজন সরকার,
সভাপতি,
পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি(WBTSTA) !!
মহাশয়,
তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নবগঠিত রাজ্য কমিটিতে নিযুক্ত পদাধিকারী হিসাবে আপনার কমিটিতে যারা স্থান পেয়েছেন তাদের নির্বাচন কিসের ভিত্তিতে করা হয়েছে ?
কাছের লোক, না কাজের লোক হিসাবে ?
নাকি, আপনাকে তেল মারায় পারদর্শীতার পুরস্কার হিসাবে?
নাকি, তৃণমূল দলের কর্মী হিসেবে ?
নাকি, তৃণমূল মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সদস্য হিসেবে ?
নাকি, টাকা পয়সার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হয়েছে?
আমি কদিন ধরে বিভিন্ন জেলায় খোঁজ খবর নিয়ে যেটুকু জানতে পারলাম, রাজ্য কমিটির পদাধিকারীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন তারা জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই করে না, WBTSTA করা তো দুরের কথা?
তাদের অনেকেই এখনও কংগ্রেস, সিপিএম, বিজেপির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত !! সিপিএমের শাখা সংগঠন, “নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতি”(ABTA)র সক্রিয় সদস্য ।
তাদের নাম নিশ্চিতভাবেই আমাদের তৃণমূল কংগ্রেসের কোনো জেলা সভাপতিই আপনার কাছে পদে রাখার জন্য সুপারিশ করেননি? অথচ তাদের নাম রাজ্য কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানো হলো কিসের বিনিময়ে ?
আপনাকে পরিস্কারভাবে জানাতেই হবে কিভাবে তাদের নাম রাজ্য কমিটিতে স্থান পেয়েছে?
উত্তরটা আমি রাজ্য সভাপতি বিজন সরকারের কাছে জানতে চাইছি । কত টাকার বিনিময়ে আপনি রাজ্য কমিটির পদ বিক্রি করেছেন?
জানতে চাইছি বহু গুণে গুণধর রাজ্য সভাপতি বিজন সরকারের কাছে ? আপনি যখন যে জেলায় গেছেন, সেখানে আপনার গুণের একটা করে স্মরণীয় স্মৃতি রেখে গেছেন।
আমার সোজাসুজি প্রশ্ন, মুর্শিদাবাদ জেলার হিকমপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষককে রাজ্য কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি করা হয়েছে ।
তিনি এখনও সিপিএমের শাখা সংগঠন নিখিল বঙ্গ শিক্ষক সমিতির বহরমপুর মহুকুমার সম্পাদক ।
শুধু তাইই নয়, সিপিএমের হেডমাস্টার দের সংগঠন ASFHM এর জেলার সেক্রেটারি । যার শরীর থেকে এখনও সিপিএমের দুর্গন্ধ দূর হয়নি….
অবশ্য তিনিও আপনার মত বহু গুণে গুণধর…. জেলার মানুষ তাইই জানে ।
বিজন সরকার বাবু আপনি কত টাকার বিনিময়ে তাকে রাজ্যের জয়েন্ট সেক্রেটারি পদ বিক্রি করেছেন, বলুন ? রাজ্যের পদ পাবার রেট কত? আপনাকে কত টাকা দিলে রাজ্যের পদ পাওয়া যাবে ?
বিজন বাবু, আপনি আমাদের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর পাশে পাশে ছবি তুলে ভালো মার্কেট তৈরী করছেন করুন, ক্ষতি নেই।
আমি কমিটি গড়ার ক্ষেত্রে কিছুই জানিনা বলে দায় সারছেন ? “এই রাজ্য কমিটি করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু” বলে নিজের ঘাড় থেকে যাবতীয় দোষ ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করবেন না ? অযথা শিক্ষামন্ত্রীর নামে আপনি বদনাম করবেন না ।
আমাদের মতো শিক্ষিত সমাজ ব্রাত্য বসু সম্পর্কে খুব ভালো জানে। অযথা শিক্ষামন্ত্রীকে রাজ্যের শিক্ষক সমাজের কাছে হেয় করবেন না ?
আমরা পশ্চিমবঙ্গের তৃনমূলপ্রেমী শিক্ষিত সমাজ বুঝতে পারছি, আপনি শিক্ষামন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে সংগঠনের রাজ্য কমিটির পদ বিক্রি করেছেন । আমরা পদ বিক্রির ব্যাবসা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না ।কারণ এই দলটির জন্য আমাদের মতো পুরোনো দিনের নেতাকর্মীদের অনেক Sacrifice আছে ।
আপনি সব সময় মন্ত্রীর পিছনে চোরের মত চোর চোর মুখ নিয়ে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে সোস্যাল মিডিয়াতে সেই ছবি পোস্ট করে, “আমার সঙ্গে মন্ত্রীর সম্পর্ক কত গভীর” এটা দেখিয়ে যাবতীয় নোংরামির দায় এড়াতে পারবেন না?
আপনি সংগঠনের সংবিধান নিয়ে মন্ত্রীকে ভুল পথে পরিচালিত করেছেন।
সত্যি কথাটা মন্ত্রীকে বলেননি কেন ? “যে সংগঠনে 30% অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা সংগঠনের পদাধিকারী থাকতে পারবেন” ?
30%অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শিক্ষিকা সংগঠনের মধ্যে রাখা হয়েছিল কেন ? কারণ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনা ব্যাহত না করে সংগঠনের কাজে বেশী সময় দিতে পারবে বলে । এই বাই ‘ল’ সম্পর্কে আপনি মন্ত্রীকে সঠিক তথ্য না দিয়ে ভুল পথে পরিচালিত করেছেন কেন ?
আপনি মন্ত্রীকে ভুল পথে পরিচালিত করে নিজের আখের গোছানোর চেষ্টা করবেন না ।।
আপনি আগে জানান, রাজ্য কমিটিতে যাদের নাম ঢুকিয়েছেন, (সিপিএম, বিজেপি, কংগ্রেস থেকে) তাদের নাম কে কে সুপারিশ করেছে সেই সব ব্যাক্তির নাম বলুন ? জানি আপনার বলার ক্ষমতা নেই, কারণ আপনি পদ গুলো টাকার বিনিময়ে বিক্রি করেছেন ।।
আবারো বলছি, আমাদের ভয় দেখাবেন না, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক !! মানুষের কাজ করার জন্য আমাদের কোনো রাজনৈতিক পদের দরকার হয় না, আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৈনিক এটাই আমাদের বড় পরিচয়।
পরিস্কার বলে দিচ্ছি, আমাদের প্রিয় অভিভাবক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষামন্ত্রী কে ভুল পথে পরিচালিত করবেন না। আর কোনোভাবেই কোনোদিনই চেষ্টা করবেন না ।
আমরা কেউই বাংলার রাজনৈতিক মুর্খ না ? আমিও একজন দায়িত্বশীল প্রধান শিক্ষক ছিলাম, বাম বিরোধী বহু আন্দোলনের সাক্ষী আমি ।
আমিও দলের একজন প্রথম দিনের কর্মী। আপনার মতো SFI করা সিপিএমের ঘরে আমার জন্ম হয়নি আমার ?
মুর্শিদাবাদ জেলার সঞ্জয় বাবুর রাজ্য কমিটিতে অন্তর্ভুক্তির ব্যাপারে, প্রসঙ্গের বাইরে গিয়ে আপনি অপ্রাসঙ্গিক অপ্রয়োজনীয় আবল তাবল বকছেন কেন ? আমার চেয়ে সঞ্জয় মুখোপাধ্যায়ের ব্যাপারে আপনি বেশি জানেন কি ??
আপনি বলুন:–
১) সঞ্জয় মুখার্জি সিপিএম করেন কিনা বলুন ?
২) সঞ্জয় মুখার্জি, ABTA এর মহুকুমার সম্পাদক কিনা বলুন ?
৩) সঞ্জয় মুখার্জি ASFHM এর জেলার দায়িত্বে আছেন কিনা বলুন ?
৪) সঞ্জয় মুখার্জি DA এর দাবিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী ধর্ণা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন কিনা বলুন ?
৫) সঞ্জয় মুখার্জি, তখন কত টাকা কালেকশন করেছিলেন আর কত টাকা ধর্মতলার মঞ্চে আমাদের সরকার বিরোধী আন্দোলন মঞ্চে চাঁদা বাবদ এসেছিলেন বলুন ?
৬) সঞ্জয় মুখার্জি সরকার বিরোধী আর জি কর ইস্যুতে সরকার বিরোধী আন্দোলনের রাত দখলে ছিলেন কিনা বলুন ?
এই সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় কে কিসের বিনিময়ে রাজ্য কমিটির জয়েন্ট সেক্রেটারি করা হলো ?
সঞ্জয় বাবুর, দুই হাতের বাম হাত থাকে পায়ে আর ডান হাত থাকে গলায়, যখন যেটা যেভাবে প্রয়োজন সেভাবেই ব্যবহার করেন। সঞ্জয় মুখার্জি অতি সহজেই মানুষের পা যেমন ধরতে পারেন আবার গলাও টিপে মারতে পারেন ।
কারণ দিনের শেষে এরা সিপিএম, সিপিএম’ই থাকে !!
আপনারা জানেন কি ? হিন্দু থেকে মুসলমান হলে বেশী বেশী নামাজ পড়ে ও গোমাংস খাওয়া ধরে আর মুসলমান থেকে হিন্দু হলে বেশী বেশী নামাবলী গায়ে চাপিয়ে সারাদিন কির্তন করে আর শুয়োরের মাংস খাওয়া ধরে ।
বিজন সরকার বাবু, এরকমভাবে আপনি বিভিন্ন জেলায় অনেক পদ বিক্রি করেছেন , যার মাশুল আপনাকে গুনতেই হবে !!
জাতীয়তাবাদী অভিনন্দন সহ—
প্রতিলিপি প্রেরণ করা হলঃ—–
১) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,
দলনেত্রী, তৃণমূল কংগ্রেস
কালিঘাট, কোলকাতা ।।
২) সুব্রত বক্সী,
সভাপতি,(রাজ্য কমিটি)
তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি ।
৩) অধ্যাপক ব্রাত্য বসু (শিক্ষামন্ত্রী)
চেয়ারম্যান,
সর্বভারতীয় তৃণমূল শিক্ষা সেল।
অভিষেক বন্দোপাধ্যায় (সাংসদ)
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক,
তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি ।।
——–:ধন্যবাদান্তে:—–
কাজী মানোয়ার ফারুক,
প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক,
বেলডাঙ্গা রামেশ্বরপুর হাইস্কুল,
মুর্শিদাবাদ !!
+919733988847