বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক সাধারণত বিট আমরা খুব বেশি খাদ্যতালিকায় রাখি না। বিট কিছুটা ব্রাত্যই বটে। বিটরুট শুধু তরকারি কিংবা স্ন্যাকস হিসেবেই কাজে লাগে না। বিটরুটের স্মুদি, জ্যুস, বিটের স্যালাদ এমনকী বিটের তৈরি পরোটাও খাওয়া যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, যদি খাবারে পাতে রোজ বিট রাখা যায়,তাহলে অনেক রোগ দূরে চলে যাবে।
* রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ – বিটের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে নাইট্রেট থাকে, যা শরীর নাইট্রিক অক্সাইডে রূপান্তরিত করে। এই যৌগটি রক্তনালীগুলিকে প্রসারিত করে, যা রক্ত প্রবাহকে উন্নত করে এবং রক্তচাপের মাত্রা স্বাভাবিক রাখে। এই কারণে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের বিট খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
* বাতের ব্যথা কমায় – শীতের দিনে জয়েন্টে ব্যথা, গাঁট ফুলে যায়। এমন অবস্থায় বিট স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এতে টালাইন নামক একটি প্রদাহবিরোধী যৌগ রয়েছে, যা যে কোনও ধরনের প্রদাহ সৃষ্টিকারী রোগকে নিয়ন্ত্রণ করে।
* রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ করে – বিটের মধ্যে আলফা-লাইপোইক অ্যাসিড নামে একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য উপযোগী। নিয়মিত বিটের জ্যুস পান করলে এটি রক্তে শর্করার মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
* কোষ্ঠিকাঠিন্য দূর করা –
বিটরুট ফাইবার সমৃদ্ধ এবং এটি আপনার অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি করে। পরিপাকতন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া থাকলে, সেগুলো রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, ফাইবার হজম ক্ষমতা উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে প্রতিরোধ করে।
* এছাড়াও নানাবিধ উপকার – বিটের মধ্যে জিঙ্ক, কপার, আয়রনের মতো মিনারেল রয়েছে। রক্তাল্পতার ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে বিটরুট। যে কারণে মহিলাদের ডায়েটে অবশ্যই বিটরুট রাখা দরকার। তাছাড়া এই সবজির মধ্যে ভিটামিন এ এবং সি রয়েছে। এই পুষ্টিগুলো চোখ, ত্বক, চুলের খেয়াল রাখে।
তাই খাদ্য তালিকায় বিট রাখার চেষ্টা করুন।