বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আপনার জন্য অনুপম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে অপেক্ষা করছে পাহাড়ের ধোত্রে গ্রাম। প্রায় ৮৫৩০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ধোত্রে।
মেঘ, পাইন আর কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ে ধোত্রে। সম্ভবত ধোত্রেই সবচেয়ে নিচু পর্যটন কেন্দ্র যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অবয়ব স্পষ্ট দেখা যায়। পাইনের বনে দাঁড়িয়ে মেঘেদের দেশ থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সুযোগ রয়েছে ধোত্রেতে। প্রায় ৮৫৩০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত ধোত্রে। মেঘ, পাইন আর কাঞ্চনজঙ্ঘা নিয়ে ধোত্রে। সম্ভবত ধোত্রেই সবচেয়ে নিচু পর্যটন কেন্দ্র যেখান থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘার অবয়ব স্পষ্ট দেখা যায়। ধোত্রেতে জনবসতি কম। হাতে গোনা ৩০টি পরিবারের বাস এখানে। থাকার জায়গাও সীমিত। তবে, এখানে বেশ ভালই পর্যটনদের আনাগোনা লেগে থাকে। আপনি স্বচ্ছন্দে ওই গ্রামের মানুষের সাথে মিশে যেতে পারেন। ওরা আপনাকে গ্রামের নানা কাহিনী শোনাবে।
যদি মন চায়,আপনার জন্য ধোত্রে থেকে খোলা আছে অনেক জায়গা। ট্রেকিংয়ের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে অনেকেই সান্দাকফুকে বেছে নেন। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা ট্রেক করতে খুব একটা পছন্দ করেন না। কিন্তু সান্দাকফু না গেলে ওই রুতে বেড়াতে যেতে পারবেন না, এমন নয়। মানেভঞ্জন থেকে শুরু হয় সান্দাকফুর যাত্রা। এখান থেকে অনায়াসে আপনি গাড়ি চেপে পৌঁছাতে পারেন। এরপর ধোত্রে, চিত্রে, টংলু, তুমলিং, কালাপোখরি পেরিয়ে পায়ে হেঁটে পৌঁছাতে হয় সান্দাকফু। তবে, গাড়ি চেপে ধোত্রেতেও আপনি যেতে পারেন। সান্দাকফু রুটে ধোত্রে হল শেষ পাহাড়ি গ্রাম যেখানে গাড়িতেও যাওয়া যায়। সিঙ্গলিলা জাতীয় উদ্যানের কোলে অবস্থিত ধোত্রে নিজের মতো করে সুন্দর। ধোত্রের হাড় কাঁপানো ঠান্ডার মাঝে এমন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার মজাই আলাদা। ঘন পাইনের বন থেকে পাখির ডাকও শোনা যায়। হোমস্টে ও কাঞ্চনজঙ্ঘার ভিউতে কোনও পরিবর্তন নেই ধোত্রেতে। তবু ধোত্রে সবার থেকে আলাদা। সূর্যোদয়ের সঙ্গে কাঞ্চনজঙ্ঘার তুষারাবৃত শৃঙ্গে দেখা যায় লাল, হলুদ, কমলার ছটা।
যাওয়া – নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ধোত্রের দূরত্ব ১০৪ কিলোমিটার। শেয়ার গাড়িতে যেতে চাইলে আওনাকে ঘুম হয়ে দার্জিলিং থেকে সুখিয়াপোখরি হয়ে পৌঁছতে হবে ধোত্রে। মানেভঞ্জন থেকেও আপনি ধোত্রে যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। মানেভঞ্জন থেকে ধোত্রের দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটার। ধোত্রে থেকে পায়ে হেঁটে ঘুরতে পারেন টংলু। মাত্র ৬ কিলোমিটারের পথ।
থাকা – থাকার জন্য পাবেন বেশ কয়েকটা সাজানো হোমস্টে।