বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: যে কোনো মৃত্যুই দুঃখ জনক। কিন্তু মক্কি ঘটিয়েছে ভারতের বিশাল ক্ষতি। তার জন্য মারা গেছেন ভারতের বহু মানুষ। তাই তার মৃত্যু আমাদেয় ততটা বেদনাহত করছে না। ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর মুম্বই হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরি হয়েছিল লস্কর প্রধান হাফিজ সইদের শ্যালক হাফিজের নেতৃত্বে।

 

ঘৃণ্য সেই জঙ্গি হামলার শিকার হতে হয়েছিল ১৬৬ জন নিরীহ মানুষকে। সেই ষড়যন্ত্রে শামিল ছিল মক্কিও। পরে হাফিজ ও মক্কি দু’জনকেই গ্রেপ্তার করা হয় পাকিস্তানে। গত বছর রাষ্ট্রসংঘের তরফে জঙ্গিদের সাহায্যের জন্য অর্থ সংগ্রহ করা ও জম্মু-কাশ্মীরের তরুণদের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে উৎসাহিত করা, ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র-এই তিন অভিযোগে মক্কিকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয়েছিল। যদিও পাকিস্তানে তিনি দিব্যি ছিলেন। কিন্তু এবার তিনি চলে গেলেন মৃত্যুর জগতে।

শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে এক সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি করা হয়েছে। এও বলা হয়েছে, মক্কি গত কয়েকদিন ধরেই অসুস্থ ছিল। রক্তে শর্করা বেড়ে গিয়েছিল তার। আর সেজন্যই লাহোরের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। হাফিজের মাথার দাম ১০ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছিল আমেরিকা। শুধু তাই নয়, ২০১০ সালে আবদুল রহমান মক্কিকে আন্তর্জাতিক জঙ্গি ঘোষণা করে মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্ট। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে আবদুল রহমান মক্কিকে ‘গ্লোবাল টেররিস্ট’ ঘোষণার চেষ্টা চালাচ্ছিল নয়াদিল্লি। পরে সেই চেষ্টা সফল হয়। ২০২০ সালে মক্কিকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে অবশ্য পাকিস্তানের আশীর্বাদে তিনি ছিলেন গোপন আস্তানায়। এখন চলে গেলেন – না ফেরার দেশে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *