বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটতে চলেছে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের। অচিরেই স্থায়ী উপাচার্য পাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে যোগ দিচ্ছেন অরুণাচল প্রদেশের রাজীব গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সরিৎকুমার চৌধুরী। ওই মর্মে সরকারি বিজ্ঞপ্তিও জারি হয়ে গিয়েছে।

 

 

তবে তিনি কবে যোগ দেবেন তার দিনক্ষণ জানা যায়নি। স্থায়ী উপাচার্যের সমস্যা মিটে যাওয়ায় এবার বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে তদ্বির করার সুযোগ মিলবে বলে আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রার ডঃ কুমার বাসনেট বলেন, ‘আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের নোটিফিকেশন হয়েছে। স্থায়ী উপাচার্য হিসাবে খুব শীঘ্রই কাজে যোগ দেবেন সরিৎকুমার চৌধুরী।’

২০১৮ সালে বিধানসভায় আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট পাশ হয়েছিল। তার ঠিক দু’বছর পর ২০২০ সালের ২৩ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন চালু হয়। কিন্তু জন্মলগ্ন থেকেই আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয় ‘রুগ্ন’। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিকাঠামো তৈরির অর্থ বরাদ্দ হয়নি।

আলিপুরদুয়ার কলেজেই আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠন চলছে। আলিপুরদুয়ার কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের আজও বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত করা হয়নি। ফলে বদলি বা অবসরের ক্ষেত্রে কলেজের শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কলেজের কোনও শিক্ষক বদলি বা অবসর নিলে তিনি কলেজ না বিশ্ববিদ্যালয় কোথা থেকে অবসর নিচ্ছেন বা বদলি হচ্ছেন, তা তাঁরা বুঝতে পারছেন না।

বিশ্ববিদ্যালয়ে আজও অধ্যাপক ও শিক্ষাকর্মী নিয়োগ হয় নি। চালু হয়নি হোটেল ম্যানেজমেন্ট, টি-ট্যুরিজম ও ফরেস্ট্রি–সহ চারটি প্রস্তাবিত কোর্সও। বর্তমানে অস্থায়ী উপাচার্য, একজন অস্থায়ী ফিনান্স অফিসার ও একজন অস্থায়ী স্পেশাল অফিসার দিয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কাজ দায়সারা ভাবে চলছে।

আলিপুরদুয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানীয় চারটি আঞ্চলিক ভাষার পঠন-পাঠনের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাবও আজ পর্যন্ত বাস্তবের মুখ দেখেনি। বর্তমানে আলিপুরদুয়ারে বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্থায়ী উপাচার্য রয়েছেন রাজ্যপাল মনোনীত রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়। উপাচার্যের সমস্যা মিটতে চলায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক উন্নয়নে গতি আসবে বলে মনে করছেন জেলার শিক্ষানুরাগী মহল। সবাই মনে করছেন, স্থায়ী পদে উপাচার্য না আসলে বিদ্যালয় হোক বা বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার উন্নতি হয় না। কারণ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকেই নিতে হয়। তাই এতদিন অস্থায়ী উপাচার্য থাকায় সমস্যা তৈরি হচ্ছিল। অন্যান্য অধ্যাপকেরা মনে করছেন , এতে সবারই সুবিধা হবে। এক নতুন উপাচার্য পেল এটাই বছর শেষে খুশির খবর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *