বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বারাসতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নারী শক্তি বন্দন সভা। তার আগে বুধবার সকাল থেকে সন্দেশখালি থেকে মহু মানুষ বারাসতের পথে। আলাদা করে মহিলাদের সেখানে নিয়ে যাচ্ছেন বিজেপির নেতরা। বিশেষ করে নির্যাতিতারা। এই যাত্রার সময়েই তাঁদের মুখে তৃণমূলের বাহিনী ও পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ শোনা গিয়েছে।


সন্দেশখালির মহিলাদের কেউ দাবি করছেন, তৃণমূলের বাহিনী তাঁদেরকে হুমকি দিয়েছে। আবার কেউ দাবি করছেন, সমন পাঠিয়ে থানায় ডাকছে পুলিশ। যাঁদেরকে সমন পাঠানো হয়েছে, তাঁদের এদিনই হাজিরা দিতে বলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সেইসব মহিলারা।

বুধবার সকালে ধামাখালি ফেরিঘাট থেকে বারাসতের পথে বাসে যাওয়া মহিলারা বলেছেন, সন্দেশখালিতে তৃণমূলের অত্যাচারের কথা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সামনে তুলে ধরতে চান। তৃণমূলের গুণ্ডারা তাঁদের জমি-জায়গার পাশাপাশি ইজ্জতও নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন, সেইসব মহিলারা।

কোনও কোনও মহিলা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানিয়েছেন, থানা থেকে বারে বারে ফোন করে বুধবার সন্দেশখালি থানায় হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যেখানে তিনি আগে কোথাও কোনও মুখ খোলেননি কীভাবে তাঁকে থানায় ডাকা আর সেই ডাকের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ওই মহিলা।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার পিয়ালি দাস নামে এক মহিলা অভিযোগ করেছেন, সন্দেশখালি থানার পুলিশ তাঁর বাড়িতে গিয়ে একটি কাগজে সই করতে বলে। কাগজে কী লেখা আছে তা পড়ার সময় টুকু না দিয়ে জোর করে সই করিয়ে নিয়ে চলে যায় বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। পিয়ালি দাসের অভিযোগ, যাতে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর সভায় যেতে না পারেন, সেই জন্য তাঁদেরকে ছয় মার্চ থানায় ডাকা হয়েছে।

যদিও পুলিশ সূত্রে খবর, দশ ফেব্রুয়ারি ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে দায়ের করা মামলায় মহিলাদের বয়ান নথিভুক্ত করতেই পুলিশের তরফে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও সন্দেশখালির মহিলারা অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সভায় না যেতে তৃণমূলের তরফে বাড়িতে লোক পাঠিয়ে চাপ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *