বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ত্যাগ করেন ও ৮ আগস্ট মহম্মদ ইউনুসকে বিদেশ থেকে টেনে এনে বসানো হয় প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে।

 

আর তারপরে কেটে গেছে ৪ মাস। এবার সময় এসেছে এই ৪ মাসে ইউনুসের সাফল্য ও ব্যর্থটার তালিকা একটু দেখে নেওয়ার।

১) দেশের নির্বাচন – বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো অন্তরবর্তী সরকার কখনোই ৯০ দিনের বেশি থাকতে পারে না। তার মধ্যে নির্বাচন করে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কিন্তু ইউনুস পারেন নি – ব্যর্থ!

২) সংখ্যা লঘুদের উপর আক্রমন – বাংলাদেশে ইউনূস সরকারের গলার কাটা সংখ্যালঘু। আদিবাসী থেকে শুরু করে হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের উপরে অত্যাচার, তাদের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, ধর্মীয় স্থান জ্বালিয়ে দেওয়া এমনকী প্রকাশ্যে হত্যারও অভিযোগ উঠেছে। ব্যর্থ ইউনুস।

৩) আক্রান্ত সংবাদ মাধ্যমও-
গণতন্ত্রের চতুর্থী স্তম্ভ সংবাদ মাধ্যম। কিন্তু ইউনুস সরকারের সময় বার বার করে আক্রান্ত হয়েছে সংবাদ মাধ্যম। রাইটস অ্যান্ড রিস্কের একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ইউনূসের আমলে ৩৫৪ জন সাংবাদিককে হেনস্থা, ১১৩ জনের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক মামলা দায়ের হয়েছে। অ্যাক্রেডিশন বাতিল হয়েছে ১৬৭ জন সাংবাদিকের। এই ক্ষেত্রেও ব্যর্থ নোবেল জয়ী ইউনুস।

৪) আমলাদের ক্ষমতাচ্যুত করা ও নতুন নিয়োগ- বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের পরই হাসিনার আমলের সরকারি কর্তাদের জোর করে ইস্তফা দেওয়ানোর অভিযোগ রয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় সংস্কারের নামে প্রধান বিচারপতি সহ ১২ বিচারপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। নষ্ট হয়েছে গণতান্ত্রিক পরিবেশ। ইউনুস এখানেও ব্যর্থ।

৫) স্বজনপোষণ – হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে একটা অন্যতম অভিযোগ ছিল স্বজনপোষণ। আর সেই অভিযোগ ইউনুস সম্পর্কেও।
তিনিও নিজের ঘনিষ্ঠ বৃত্তের লোকজনদেরই অন্তর্বর্তী সরকারের শীর্ষপদে বসিয়েছেন। মুস্তাফা ফারুকি থেকে শুরু করে আলি ইমাম মজুমদার, শেখ বসিরুদ্দিন, গোলাম মুর্তাজা, নূর জাহান বেগম, শরমিন মুর্শিদ– তালিকা দীর্ঘ। জামাত ঘনিষ্ঠ শেখ বসিরুদ্দিন, তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ রয়েছে। নূর জাহান বেগম, শরমিন মুর্শিদ আবার ইউনূসের ঘনিষ্ঠ বান্ধবী বলে কানাঘুষো শোনা যায়। এমনকী ইউনূস তাঁর স্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক বিধান রঞ্জন রায়কে নিয়োগ করেছেন।

৬) ঋণের বোঝা – অর্থনীতিবিদ মহম্মদ ইউনূস। অথচ বাংলাদেশকে ঋণের বোঝা থেকে বের করতে পারছেন না। অনাদায়ী ঋণ ও খেলাপি ঋণের দায়ে জর্জরিত বাংলাদেশ। বিগত কয়েক মাসে ১১টি ব্যাঙ্কের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে নতুন পর্ষদ তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু অর্থ সঙ্কট কাটেনি।

এই তালিকা আরও দীর্ঘ না করে সহজেই বলা যায় চাপিয়ে দেওয়া সরকার আর ভোটে জিতে আসা সরকারের মধ্যে পার্থক্য তো থেকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *