বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে নানা সময় নানা অভিযোগ সামনে আসে। বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা যে অনেকটা তলানিতে পৌঁছে গেছে এই অভিযোগ অনেকের। এবার সামনে আসলো তারই এক নিদর্শন। ঘটনাস্থল গাঁফুলিয়া পশ্চিমপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়।
খবরে প্রকাশ, স্থানীয় মানুষ সনৎ কুমার দাসের পিতৃ শ্রাদ্ধের কাজ করা হচ্ছে ওই স্কুলে। অথচ স্কুল চলেছে। গাঁফুলিয়া পশ্চিমপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ১৭২ জন ছাত্রছাত্রী। শিক্ষক শিক্ষিকা মোট ৭ জন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সনৎবাবুরা প্রায় ৬০০ জনের খাওয়া-দাওয়ার আয়োজন করেন। স্কুলের উঠানে ত্রিপল টাঙিয়ে রান্নার পর স্কুলের একটি শ্রেণিকক্ষে রান্না করা খাবার রাখার ব্যবস্থা করা হয়। তবে নিমন্ত্রিতদের তালিকায় স্কুলের পড়ুয়াদেরও রেখেছেন ওই পরিবার। যদিও স্কুলে এনিয়ে ছুটি ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু স্কুলের মধ্যে ভোজের আয়োজন ঘিরে পড়ুয়াদের তেমন পঠনপাঠনে মন ছিল না। তারা উৎসাহের সঙ্গে ভোজের কাজে সহযোগিতা করতেই ব্যস্ত। এই নিয়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে চারিদিকে।
প্রধান শিক্ষক বলেন,আসলে এই পাড়ার লোকজন ভীষণ গরিব। ভোজের আয়োজন করার মতন তাঁদের নিজেদের জয়গা নেই। তাই এই ধরনের অনুষ্ঠান হলে স্কুলের জায়গা ব্যবহারের অনুমতি চান। আমার কাছে বলার পর আমি স্থানীয় অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে অনুমতি দিয়েছি। তবে বিতর্ক হলে অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করে দেব।” এদিকে অনুষ্ঠানের আয়োজক সনৎ দাস বলেন,”বাবার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানের আয়োজন করার মতন আমাদের নিজেদের জায়গা নেই। তাই স্কুল ব্যবহারের জন্য হেডস্যারের কাছে অনুরোধ করি। উনি রাজি হওয়ার পর স্কুলে আয়োজন করেছি। সত্যি, এ এক আজব দেশ।