বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে ক্রমাগত হিন্দুদের উপর অত্যাচার হয়েই চলেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে বার বার শান্তি স্থাপনের কথা বললেও ইউনুস সরকার কোনো কথাই রাখে নি। এই পরিস্থিতিতে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার নতুন করে চাপ সৃষ্টি করেছে ইউনুস সরকারের উপর।
প্রসঙ্গত, শুধু আদানি গোষ্ঠী নয়, বিদ্যুতের জন্য ত্রিপুরার কাছেও বাংলাদেশের ১৩৫ কোটি টাকা ধার আছে। ‘ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন’ বিদ্যুৎ ব্যাপার নিগম লিমিটেডের মাধ্যমে সেই বাণিজ্য চুক্তি করা হয়েছিল। আর সেই চুক্তির মাধ্যমে যে বিদ্যুৎ পাঠানো হত, সেটার বাবদ বাংলাদেশের থেকে ১৩৫ কোটি টাকা বকেয়া আছে ত্রিপুরা সরকারের। আর অবিলম্বে সেই টাকা মিটিয়ে দিতে বলেছে ত্রিপুরা। বর্তমানে ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের দিক থেকে এই বার্তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ।
ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা রবিবার এক বার্তায় বলেন, আগরতলা কলকাতা ভায়া ঢাকা বাসের হিন্দু যাত্রীদের উপর পরিকল্পনা করে হামলা করেছে ও দেশের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়। আর তার পরেই বকেয়া টাকা পরিশোধের বার্তা। বাংলাদেশের মধ্যে ভারত-বিরোধী কার্যকলাপ চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে যে ভারত-বিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়েছে বাংলাদেশে। এমনিতে ভারতের আদানি গোষ্ঠীর কাছে ৭,২০০ কোটি টাকার মতো ধার ছিল বাংলাদেশের। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডায় ১,৬০০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ পাঠায় আদানি পাওয়ার। কিন্তু টাকা বকেয়া থাকতে-থাকতে সেটা ৭,২০০ কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ পরিষেবা বন্ধের ভয় ঘিরে ধরেছিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ যে সব জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি করে তার ১৮ শতাংশ ভারতের। বিশেষ করে বিশাল পরিমান খাদ্য ভারত থেকে যায় বাংলাদেশে। সেই পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে পায়ে পা লাগিয়ে এই ঝগড়ার ফল কিন্তু ভুগতে হবে ওই দেশের সাধারণ মানুষকে।