বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হাসিনা সরকারের পতনের পিছনে অন্যতম কারণ ছিল সেই দেশে ছাত্র সমাজের কোটা বিরোধী আন্দোলন।
কিন্তু বাংলাদেশের অজান্তেই সেই আন্দোলনের রাশ চলে যায় পাকিস্তানপন্থী জামাত গোষ্ঠীর হাতে। তাদের হাসিনা বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী আন্দোলনে। এই বিষয়ে লেখিকা তসলিমা নারসিন আগে বার বার করে সাবধান করে দিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে মহম্মদ ইউনুউসের নেতৃত্বে গঠিত হলো নতুন অন্তরবর্তী সরকার।
অন্তরবর্তী সরকারের কাছে মানুষের দাবি ছিল অনেক। কিন্তু দেখা গেলো তিনি তো দেশের ধর্ম নিরপেক্ষতা রক্ষা করতে পারলেন না বরং ওই দেশের সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর আক্রমন ক্রমাগত বেড়ে চললো। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম সর্বত্র ভাঙ্গা হচ্ছে হিন্দু মন্দির, জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি,ঘর, দোকান। এই পরিস্থিতিতে প্রতিবাদের পথে নেমেছে হাজার হাজার হিন্দু। আর সেই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ইস্কনের সাধু চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। চিন্ময় মহারাজ সহ ১৯ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আদালত তাদের জামিন তো দেয় না বরং ওই দেশের এক শ্রেণীর মানুষ ইস্কনকে হিন্দু মৌলবাদী আখ্যা দিয়ে ইস্কনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তোলে। বৃহস্পতিবার ঢাকায় ইস্কনের একটি অফিস সেনা বাহিনী তুলে দেয়। স্বাভাবিক কারণেই চারিদিক থেকে ওঠে প্রতিবাদ। কয়েকদিন আগেই ভারত সরকার হিন্দুদের উপর অত্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়ে বার্তা পাঠিয়েছেন ইউনুস সরকারের কাছে। ভারতের সমস্ত রাজনৈতিক দল এর প্রতিবাদ করেছে। এক বার্তায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তারা পেট্রাপোল সীমান্ত আবারোধ করে প্রতিবাদ জানাবে। তিনি এও বলেন, দ্রুত চিকিৎসা ভিসা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষেরা চিকিৎসা করাতে কলকাতা বা ভারতে নয়, পাকিস্তানে যাক।
এদিকে বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার মেনে নেওয়া যায় না। তিনি এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে আরও জোড়ালো প্রতিবাদ জানাতে হবে। এই বিষয়ে বিধানসভায় বিজেপি ও তৃণমূল সহমত পোষণ করে।