বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একে একে সকলেরই জামিন হয়ে গেছে। কিন্তু পার্থ চট্টোপাধ্যায় সেই চার দেওয়ালের অন্ধকার কুঠুরিতেই আবাদ্ধ। ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।

 

তবে পার্থর আইনজীবী মুকুল রোহতগীর স্পষ্ট বক্তব্য, অর্পিতাকে নিয়ে কোনও চিন্তাই নেই। তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ নো কনসার্ন ফর হার।’ আজ, বুধবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল পার্থর জামিন সংক্রান্ত মামলা। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হাতে থাকা প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জামিন চান তিনি। সেই জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত হয়ে গিয়েছে। পরবর্তী শুনানি সোমবার। ফলে বলাই যায়, পার্থর ভাগ্য মোটেই ভালো নয়।

এদিকে পার্থর আইনজীবী তুলেছেন কিছু আইনগত প্রশ্ন। আইনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে মুকুল রোহতগী বলেন, ২৮ মাস অর্থাৎ প্রায় আড়াই বছর জেলে আছেন পার্থ। আইনের সংস্থান অনুযায়ী, যদি কেউ প্রথমবারের অভিযুক্ত হয় তাহলে মোট শাস্তির এক-তৃতীয়াংশ সময়ে কেউ জেলে থাকলে তাকে জামিন দিতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন, আর্থিক প্রতারণার মামলায় সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত জেল হতে পারে। অর্থাৎ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এক তৃতীয়াংশ সময় জেলে কাটিয়ে ফেলেছেন। তাহলে তাকে এবার জামিন দেওয়া হোক। সঙ্গে সঙ্গে ইডির আইনজীবী এসভি রাজু বলেন, “পার্থ জামিন পেলে তথ্য-প্রমাণ লোপাট এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করবেন। অর্পিতা নিজের স্টেটমেন্টে জানিয়েছেন, অর্পিতা  পার্থকে নিয়ে ভীত।” অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল এস ভি রাজু বলেন, “প্রায় ৫০০০০ যোগ্য ছাত্র-ছাত্রীর জীবন এই বিপর্যস্ত হয়ে গিয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। গ্রেফতারের পর ডাক্তারের উপর প্রভাব খাটিয়ে মিথ্যা অসুস্থতার বাহানা করেছিলেন। বৃহত্তর স্বার্থে তার জামিন হওয়া উচিত নয়।” এখন দেখার আগামী সোমবার পার্থর ভাগ্য খোলে কিনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *