বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ আবার শীতঘুম ভেঙে সক্রিয় হয়ে উঠেছে ইডি। জানা যাচ্ছে চিটফান্ড কাণ্ডে তাদের আজকের এই তল্লাশি। কাকভোরে নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির আবাসনে এক চিটফান্ড সংস্থার মালিকের বাড়িতে এদিন পৌঁছে যান ইডির আধিকারিকরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে কলকাতা ও শহরতলির অন্তত ৪টি ঠিকানায় তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির গোয়েন্দারা। একটি নির্দিষ্ট অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগের ভিত্তিতে এই তল্লাশি বলে জানা গিয়েছে। ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে প্রয়াগ চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে তল্লাশি শুরু করেছে ইডি। নিউ আলিপুর ছাড়াও জোকায় ডায়মন্ড হারবার রোডের পাশে একটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে বলে খবর। এছাড়াও ২টি ঠিকানায় তল্লাশি চালছে বলে জানা গিয়েছে। হঠাৎ ইডির এই তৎপরতায় অবাক হয়েছে অনেকেই।
বছর সাতেক আগে এই চিটফান্ড মামলা নিয়ে ইডি প্রথম উদ্যোগ নেয়। সেই সময় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ প্রয়াগ গোষ্ঠীর কর্ণধার বাসুদেব বাগচি ও তাঁর ছেলে অভীক বাগচিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তাদের বিরুদ্ধে আমানতকারীদের মোটা টাকা তছরূপের অভিযোগ রয়েছে। যদিও তারা এখন বাইরে আছেন। ‘প্রয়াগ’ নামক এই সংস্থা রেজিস্টার হয়েছিল ১৯৯৭ সালে। এরপর এটি অর্থলগ্নি সংস্থা হয়ে ওঠে ২০০২ সালে। এর আগে এই ঘটনার তদন্ত করে সিবিআই। সিবিআই তদন্তে জানতে পারে, এই সংস্থার সব থেকে বেশি বাড়বাড়ন্ত হয়েছিল রাজ্যে সরকার পালাবদলের পর। ২০১৩ সালে সারদাকাণ্ড প্রকাশ্যে আসার পরে প্রয়াগ নামক এই ভুয়ো অর্থ লগ্নি সংস্থাও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার স্ক্যানারে আসে। প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা আমানতকারীদের কাছ থেকে তুলে নেয়।
তদন্ত করে ইডি জানতে পারে ২০১২ সালে একাধিক হোটেল রিসর্ট চালু হয় সেই আমানতকারীদের গচ্ছিত টাকায়। সেই বছরেই জোকাতে ম্যানেজমেন্ট কলেজের কাছে ৭০ বিঘা জমির ওপর তৈরি হয় অ্যারিস্ট্রো ক্লাব নামে একটি সুবিশাল বিলাসবহুল রিসোর্ট।
সেই রিসর্টে আজ হানা ইডি।
শাসক দলের একাধিক নেতার ঘনিষ্ঠতার সুবাদে জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছিল বাসুদেব বাগচীর।
এছাড়াও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা ফিল্মসিটি তৈরি করার নামে ৪০০ একর জমি তিনি হাতিয়ে নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। যার মধ্যে সরকারি জমি, পাট্টা জমি ছিল। এখন দেখার আজকের এই তল্লাসির পড়ে ইডির হাতে কোন তথ্য উঠে আসে।