বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রাজনীতির ময়দানে আসছেন। রবিবারের দুপুরে রীতিমতো বড়সড় চর্চা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার তিনি বিচারপতি হিসেবে ইস্তফা দেবেন। আর এই বিষয় নিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল।
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। দুর্নীতি ইস্যুতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বরাবর তৃণমূলকে কটাক্ষ করেন। বলা ভালো রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির ক্ষেত্র তাঁর বিচারের সময়েই সামনে এসেছিল।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর একাধিক বক্তব্য সামনে এসেছে। শুধু তাই নয়, বিভিন্ন সময় রাজ্যের শাসক দলের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এবার তৃণমূল পাল্টা মাঠে নামতে শুরু করেছে।
তৃণমূল নেতৃত্বের একটা অংশ বরাবর দাবি করেছেন, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনৈতিক দলের ভাবনা চিন্তা নিয়ে চলেন, মতামত দেন। সেই বিষয়টিকেই আরও একবার উসকে দিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।
এদিন কুণাল ঘোষ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকবে। কিন্তু অন্য গুরুত্বপূর্ণ পেশা থেকে যদি কেউ রাজনীতিতে আসেন, তাহলে সংসদীয় গণতন্ত্রের রাজনীতিতে তা স্বাস্থ্যকর বা ইতিবাচক।
একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে স্বাগত জানাচ্ছি। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা। তবে বিশেষ করে এই পেশার কেউ রাজনীতিতে এলে, তাঁর আগের পেশাগত সিদ্ধান্তগুলি নিয়ে নিরপেক্ষতাজনিত প্রশ্ন উঠতেই পারে, সেটাও স্বাভাবিক।
এরপর আরও একটি ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করেছেন কুণাল৷ তিনি লিখেছেন, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। নতুন ইনিংসের শুভেচ্ছা। এ ধরনের মানুষ রাজনীতিতে এলে ভালো।
তবে প্রশ্ন ১) যে দলেই যান, তাতে আপনার আগের রায়, সংলাপের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে। আপনি @AITCofficial বিরোধী হিসেবেই ওসব বলেছেন, প্রমাণ হবে।
২) যে দলেই যান, সেখানে দুর্নীতি বা অন্য কোনও অভিযোগ থাকবেই। সেগুলো তখন মেনে নিতে পারবেন তো?
এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁচা মেরেছেন তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্যও। তিনি লিখেছেন, আমরা বহু আগেই বলেছিলাম অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন রাজনৈতিক বোরে। আমাদের অভিযোগকে মান্যতা দেওয়ার জন্য অভিজিৎবাবুকে অসংখ্য ধন্যবাদ৷ শিক্ষক নিয়োগ সহ গোটা দুর্নীতির অভিযোগটাই আজ প্রশ্নের সামনে দাঁড়িয়ে পড়ল। ভোঁতা হয়ে গেল শেষ দুই – আড়াই বছরের যাবতীয় আলোচনা, সমালোচনা…।