বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মহারাষ্ট্রে সমস্ত প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেল বিজেপি ও তার জোট ‘মহাজুটি’। এমন বিপুল জয় হয়তো বিজেপি নিজেও প্রত্যাশা করে নি। কংগ্রেসের নেতৃত্বে ‘মহা বিকাশ আধারি’ অনেকটাই পিছিয়ে।
এখন পর্যন্ত যা খবর তাতে মোট ২৮৮ আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পেতে চলেছে ২২০-র আশেপাশে। স্বাভাবিক কারণেই নরেন্দ্র মোদীর মুখে বিরাট হাসি। অন্যদিকে রাহুল গান্ধী সেভাবে দাঁত ফোটাতেই পারে নি। আবার অন্যদিকে পওয়ার শিবির ৩৮ আসনে এগিয়ে রয়েছে। বিচার করে দেখলে তাদের পারফরম্যান্স ভালোই। কিন্তু তবুও তাদের কপালে যে চিন্তার ভাঁজ থাকবেই তা বলা যায়। মনে রাখা ভালো, গতবার বিজেপি পেয়েছিল ১০৫টি আসন। সরকার গড়ার ‘ম্যাজিক ফিগার’ ১৪৫ ছুঁতে তাদের দরকার ছিল আরও ৪০টি আসন। আর এখানেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন একনাথ শিণ্ডে। তিনি ২০২২ সালে শিব সেনা থেকে বেরিয়ে আসেন ওঁর অনুগামী ৪১ বিধায়কদের নিয়ে। ফলে তাঁকেই দিতে হয় মুখ্যমন্ত্রীর আসন। পরে এনসিপি শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে ‘মহাজুটি’র অংশ হয় অজিত পওয়ার শিবির। কিন্তু এবার বিজেপি বলছে – আমি একাই রাজা’।
একটা বিষয় যথেষ্ট প্রমাণিত যে বিরোধীদের অন্যতম ইস্যু ‘আদানি’ ইস্যু ভোটে কোনো প্রভাব ফেলে নি। এদিন একনাথ শিণ্ডেকে ঘিরে কার্যতই উৎসবের আবহ দেখা যায়। তিনি বলেন, ”আমি মহারাষ্ট্রের ভোটারদের ধন্যবাদ জানাই। এটা বিপুল জয়। আমি আগেই বলেছিলাম মহাজুটি দুরন্ত জয় পাবে। সমাজের সব অংশকে ধন্যবাদ জানাই। মহাজুটির সমস্ত কর্মীকেও ধন্যবাদ জানাই।” তাঁর শরীরী ভাষায় দেখা গিয়েছে জয়ীর গৌরব। শনিবার যত সময় গড়িয়েছে, ততই যেন বিজেপির ‘একক’ মহিমা বেড়েছে। অজিত পওয়ার কিংবা একনাথ শিণ্ডে শিবিরের উপরে অতটাও নির্ভর করতে হবে না বিজেপিকে। এমনকী, চাইলে শিব সেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবিরের ‘বিদ্রোহী’ বিধায়কদেরও পাশে পাওয়ার চেষ্টা করা যায়। আর এই পরিস্থিতিটা ভালোই বুঝতে পারছে শরিকরা। শিণ্ডে কিংবা অজিত, কারওই তাই মসনদে বসা হবে না। সেখানে ফিরছেন ফড়ণবিসই।