বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:অনন্তকালের বিতর্ক। বিশেষ করে বাঙাল বনাম ঘটি – রূপান্তরিত হয়েছে ইলিশ বনাম চিংড়িতে। এই বিতর্কের অবসান হয়তো হবে না,কিন্তু পুষ্টিতত্ত্ববিদেরা এই বিষয়ে তাঁদের গবেষণার ফলাফল জানিয়েছেন।
ইলিশ মাছ হোক বা চিংড়ি মাছ, অনুষ্ঠান বাড়িতে থাকবেই। আর ইলিশ বড় না চিংড়ি বড়? এই দ্বন্দ্ব যুগ যুগ ধরে বাঙাল-ঘটি বাড়িতে লেগেই থাকে। কিন্তু আপনি কি জানেন যে কোন মাছের গুণ কতটা? ঘটি বাঙালের দ্বন্দ্বের পাশাপাশি ডায়টেশিয়ানরাও কিন্তু এই দুই মাছ নিয়ে তর্কাতর্কিতে জড়ান বৈকি। ইলিশ মাছ খেতে কে না ভালোবাসেন। এই ইলিশ মাছের গুনাগুণের শেষ নেই। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন ইলিশ মাছ খেলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, হাইপারটেনশন, কার্ডিয়াক অ্যারিথমিয়াস, ডায়াবেটিস রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিস, ক্যান্সার ও বিষণ্ণতার মতো রোগের ঝুঁকি অনেকাংশে কমে । এছাড়া ইলিশ মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের কারণে রক্তে উপস্থিত ট্রাইগ্লিসারাইডের পরিমাণ কমে যায়, যা রক্তচাপও কমায় এবং হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকিও কমায়। এছাড়া ১০০ গ্রাম ইলিশ মাছে প্রোটিন ২২ গ্রাম ও ফ্যাট রয়েছে ১৯.৫ গ্রাম। তাহলে ইলিশের যে অশেষ গুন তা নিয়ে সন্দেহ নেই।
এবার জলের পোকা চিংড়ি!
সেখানে চিংড়ি মাছে প্রোটিন রয়েছে প্রায় ৫৮ থেকে ৬২ শতাংশ। এই মাছের ফ্যাটের পরিমাণও অনেকটাই কম। এই সামুদ্রিক জীবের মধ্যে অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। চিংড়ি ওমেগা ৩ এর একটি সমৃদ্ধ উৎস। এতে প্রোটিন, আয়রন এবং ফ্যাটও রয়েছে। ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামের মতো খনিজগুলিও চিংড়িতে সমৃদ্ধ। ভিটামিন ডি এবং বি ও এই জীবের মধ্যে পাওয়া যায়। পুষ্টি বিষারদেরা বলছেন, অল্প-বিস্তর চিংড়ি খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু
চিংড়ির অত্যধিক সেবনও আপনার বিপদ ডেকে আনতে পারে। চিংড়ি খাওয়ার ফলে অনেকের অ্যালার্জির সমস্যা হয়। এছাড়া হার্টের রুগি যারা তাঁদের এই মাছ এড়িয়ে চলাই ভালো। তাই আসল কথা হলো,সব খান কিন্তু অল্প খান।