বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ভরা পর্যটন মরশুমে গরুমারার সবকটি বনবাংলো বন্ধ রয়েছে। বর্ষার তিন মাস জঙ্গলের পাশাপাশি বনবাংলোগুলি বন্ধ ছিল। ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে জঙ্গল খোলার সঙ্গে সঙ্গে এই বনবাংলোগুলো খোলার কথা ছিল।
কিন্তু বাংলোগুলির সংস্কারের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় সেগুলি এখনও বন্ধ রয়েছে। এর ফলে একদিকে যেমন বনবাংলোয় থাকার সুযোগ হারাচ্ছেন পর্যটকরা, তেমনই ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদেরও। দ্রুত এই বনবাংলোগুলি খুলে দেওয়ার দাবি উঠছে।
এ বিষয়ে অবশ্য ইতিবাচক আশ্বাস মিলেছে উত্তরবঙ্গ বন্যপ্রাণ বিভাগের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভির তরফে। তিনি বলেন, ‘বনবাংলোগুলো সংস্কারের পাশাপাশি হলং বনবাংলোর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও মাথায় রাখা হয়েছে। ঢেলে সাজানো হচ্ছে বাংলোগুলির অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা। শীঘ্রই এই সমস্ত বনবাংলোগুলি পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’
গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের অধীনে বর্তমানে কালীপুর, রাইনো ক্যাম্প, হর্নবিল, মৌচুকি, গাছবাড়ি, মূর্তি ও পানঝোরা এই সাতটি বনবাংলো রয়েছে। সবকটিতেই থাকা খাওয়ার সুবন্দোবস্ত আছে পর্যটকদের জন্য। তবে সেগুলি বন্ধ থাকায় পর্যটকরা ডুয়ার্সের প্রতি উত্সাহ হারাচ্ছেন। ডুয়ার্স ট্যুরিজম ডেভলপমেন্ট ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক দিব্যেন্দু দেব বলেন, ‘এতদিন পর্যন্ত একসঙ্গে সমস্ত বনবাংলোগুলো কোনওদিনই বন্ধ ছিল না। অবিলম্বে সেগুলো খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োজন।’
ডুয়ার্সে পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু বনবাংলোগুলি। জঙ্গলে ঘোরার পাশাপাশি, পর্যটকেরা রাত্রিযাপনের জন্য এই বনবাংলোগুলিকেই গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। প্রতিবছর পুজোর সময় এবং পুজোর পর এই সময়টিতে এই বনবাংলোগুলিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। ভিড় এতটাই বেশি থাকে যে অনেকে অনেক চেষ্টার পরও এই বনবাংলোগুলোতে থাকার সুযোগ পান না।
তবে এবছর তার বিপরীতই বলা চলে। স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, বাইরের বহু পর্যটক, বেসরকারি হোটেল বা রিসর্টে থাকার পাশাপাশি বনবাংলোতে থাকার আবদার করেন। সেখানেই অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বনবাংলোর বুকিং না পেয়ে ডুয়ার্সে ঘোরার পরিকল্পনাই বাতিল করে দিচ্ছেন পর্যটকরা। ফলে পর্যটক কমছে। লোকসান হচ্ছে পর্যটন ব্যবসায়ীদের। ময়নাগুড়ির ট্যুর অপারেটর উজ্জ্বল শীল বলেন, ‘পুজোর মুখে বনবাংলোর বুকিং না পেয়ে অনেক পর্যটক ডুয়ার্সে বেড়াতে আসেননি। অবিলম্বে এই বনবাংলোগুলো যাতে খোলা হয় সেই দাবি জানাচ্ছি।’