বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: গতকাল সিনিয়র চিকিৎসকদের পরামর্শের পরে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা নিজেদের জি বি মিটিং করে অবশেষে শুক্রবার রাত ৮ টার সময় জুনিয়র চিকিৎসকেরা তাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলেন।
এদিকে আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর যে কর্মবিরতি শুরু হয়েছিল। তারপর কর্মবিরতি উঠে যায়। কিন্তু সাগর দত্ত হাসপাতালে নার্স ও জুনিয়র ডাক্তারদের নিগ্রহের ঘটনার পর সেই প্রতিবাদের পারদ চড়ে নতুন করে। আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করেন, সরকার নিরাপত্তার আশ্বাস দিলেও কার্যক্ষেত্রে কোনই বদল ঘটেনি। তাই পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু সিনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিয়ত চাপ এবং জিবি বৈঠকের পর কর্মবিরতি তুলে নিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে তাদের দাবি মানা না হলে ‘আমরণ অনশন’ করার হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।
কর্ম বিরতি তুলে নিলেও তাঁরা আন্দোলন থেকে সরে আসছেন না। সরকারকে বেঁধে দিলেন তাঁরা সময়সীমাও। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের ১০ দফা দাবি পূরণ না হলে অনশনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ডোরিনা ক্রসিংয়ে লাগাতার কর্মসূচি চালানোর কথাও ঘোষণা করেন তাঁরা। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে মঞ্চ বেঁধে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা বলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেখানে মঞ্চ বাঁধার জন্য বেশ কিছু সরঞ্জাম এবং ছোট ম্যাটাডোর আসে। অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের সেই মঞ্চ বাঁধতে বাধা দেয়। জুনিয়র ডাক্তারদের টেনে হিঁচড়ে সরানোর চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় বসে পড়েন জুনিয়র ডাক্তাররা। কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। পুলিশকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি তোলেন।