বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মানুষ একটু আনন্দের খোঁজে,স্বস্তির খোঁজে বেড়াতে যেতে চায়। তাই গরম মানেই পাহাড়। কিন্তু গতানুগতিক দার্জিলিং,কালিংপং ভ্রমণে যাঁরা ক্লান্ত বোধ করেন, তাদের জন্যই আজকের ভ্রমণ সঙ্গীর নিবেদন সিকিমের ছোট্ট পাহা়ড়ি গ্রাম সোপাখা।
পেলিংয়ের থেকে কাছেই। কিন্তু অনেকেই জানেন না সেই গ্রামের কথা। আবার সেই গ্রামই সিকিমের শেষ গ্রাম। মানে সীমান্তের গ্রাম। সেই গ্রামের পরেই নেপাল। সেকারণে ঘরবাড়ির সংখ্যাও খুব কম। গুটি কয়েক হোম স্টে রয়েছে। এই গ্রামের কাছেই রয়েছে এসএসবি জওয়ানদের ক্যাম্প। সীমান্ত গ্রাম বলে নিরাপত্তার কড়াকড়ি একটু বেশিই। সঙ্গে অবশ্যই আই কার্ড নিয়ে যাবেন।
এই গ্রাম আসলে প্রকৃতির স্বর্গরাজ্য। যেদিকেই তাকাবেন শুধু সবুজ আর সবুজ। পেলিং থেকে যেমন সকলেই দেখতে যান সিনসোর ব্রিজ। সেরকম এই গ্রাম থেকেও যাওয়া যায় সিনসোর ব্রিজ দেখতে। যা ভারতের দ্বিতীয় উচ্চতম ঝুলন্ত ব্রিজ। আবার ফোকটে দারার ট্রেকও এই সোপাখা গ্রাম থেকে করা যেতে পারে। সেকারণে অনেকেই যাঁরা ট্রেক করতে ভালবাসেন তাঁরা এখানে আসেন। শীতকালে এখানে তুষারপাত হয়। এখানে এলে পাওয়া যাবে সিকিমের প্রসিদ্ধ রডোডেনড্রন ওয়াইন। সিকিমের একমাত্র ফুল রডোডেনড্রন থেকে এই ওয়াইন খেতে পাবেন। এখান থেকে ১০ কিলোমিটার দূরেই রয়েেছ নেপাল। চেওয়াভঞ্জনের পুরো রেঞ্জ এখান থেকে দেখা যায়। একেবারে ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায় এই সোপাখা থেকে। পেলিংয়ের কাছেই রয়েছে ছাঙ্গে ওয়াটার ফল। বিকেল থেকে মেঘেদের ঘরে ফেরা দেখা যায় এখান থেকে। পাহাড়েরক খাঁজে খাঁদে দিনের শেষে এসে জমে যায় মেঘগুলো। অসাধারণ সেই ভিউ।
এবার বেরিয়ে পড়লেই হলো। অনেক হোমস্টে আছে।