বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: হঠাৎ করেই করেই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্ত টিবোর্ডের এক তুঘলকি সিদ্ধান্তে মাথায় হাতে পড়েছে উত্তরবঙ্গের চা-শিল্পর। সমস্ত পরিবেশ ও উৎপাদনের দিকে লক্ষ রেখে সেই ব্রিটিশ যুগ থেকেই চা-পাতা তোলা হয় ডিসেম্বর মাস। এতে বেশি পাতা পাওয়া যায় ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। কিন্তু হঠাৎ টি-বোর্ডের এই নতুন নির্দেশিকায় বিপুল ক্ষতির মুখোমুখি হতে চলেছে চা-শিল্প।

 

উত্তরবঙ্গের আর্থনীতি প্রধানত নির্ভর করে চা-শিল্পের উপর। এবার সেই শিল্পের উপর আক্রমন এনেছে টিবোর্ড। নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, ৩০ নভেম্বরের মধ্যে চা-পাতা তোলার কাজ শেষ করতে হবে। এতে যেমন চা পাতার উৎপাদন কম হবে তেমনই আঘাত আসবে চা-শিল্পে।

যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য বাজেটে চা-শিল্পকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে চা-শিল্পে ব্যয় বরাদ্দ বাড়িয়েছে। চা-শিল্পের বিকাশের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন, তখন চা-শিল্পকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে কেন্দ্রীয় এই শিল্পনীতি। কেন্দ্রের কাছে চা-শিল্প সম্পূর্ণ ব্রাত্য। এই নিয়ে উত্তরবঙ্গের তৃণমূল শ্রমিক সংগঠনের নেতা নির্মল দে বলেন, বিজেপির সাংসদ শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাস দাবি করছেন অথচ তিনিই টি-বোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে শিল্প ধ্বংস করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ব্রিটিশ আমল থেকে চা তোলা শেষ করার সময় ডিসেম্বর মাস। এবারই কেন্দ্রের টি-বোর্ড সেই নিয়ম ভাঙল। এতে উত্তরের অর্থনীতি বিরাট ধাক্কা খাবে। এরই সঙ্গে এতগুলি শ্রমিকের ভবিষ্যতও রয়ে গেল প্রশ্নচিহ্নের মুখে। নিরীহ চা-শ্রমিকেরা জিটিলতা বোঝেন না। তাদের প্রলোভন দেখিয়ে ভুল পথে চালিত করে বিজেপির নেতারা নিজেরা ফায়দা তুলছেন। অথচ বোর্ডের তরফে নির্দিষ্ট কোনও বৈঠক করে শ্রমিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, টি-বোর্ডের এই খামখেয়ালিপয়নায় উত্তরের অর্থনীতির বিপুল ক্ষতি হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *