বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়, বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রায় সব রাস্তাই, ঘুম, মিরিক রোড, সেবক সব রাস্তায় বন্ধ। টানা বৃষ্টির কারণে বড় বড় পাথরের চাই পড়ে আটকে গেছে সব রাস্তা।

 

মিরিক এবং সেবক এ রাস্তা সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে পুজোর আগে প্রচন্ড সমস্যায় পড়েছেন হোটেল মালিকেরা। যত হোটেল আছে সিটি এবং দার্জিলিংয়ে প্রায় সব রাস্তায় বন্ধ। এর ফলে যারা পাহাড়ে চলে গেছেন আগে তারা প্রচন্ডভাবে সমস্যায় পড়ে গেছেন। যদিও দার্জিলিং এ ফিরে আসার রাস্তা আছে।, কিন্তু সিকিমের রাস্তা একটাই ফলে পর্যটকেরা তিনগুণ গাড়ি ভাড়া দিয়েও সমতলে এসে পৌঁছাতে পারছেন না। সিকিমের বৃষ্টির সাথে সাথে তাপমাত্রা প্রায় নেমে গেছে অনেকটাই, অনেকেই সম্পূর্ণভাবে তৈরি না হয়ে সিকিম বেড়াতে চলে এসেছিলে, ঠান্ডা হয়ে যাওয়ায় আবহাওয়া পর্যটকদের সোয়েটার এবং চাদর কিনতে হচ্ছে, কিনতে হচ্ছে কম্বল ও। রাস্তা খারাপ হওয়ায় আগেই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও ফিরে গেছে অনেক গাড়ি। একদিকে যেমন মুশকিলে পড়েছে হোটেল মালিকেরা , আবার অন্যদিকে দ্বিগুন টাকা দিয়েও সামনে এসো ফিরে যেতে হচ্ছে পর্যটকদের। রাস্তা বন্ধ গতকাল দুপুর থেকে, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় মানুষ কোন কোন জায়গায় পৌঁছে গিয়ে ধস সারাবার কাজ করে চলেছেন। তবে জানা গেছে যেভাবে ধস নেমেছে তাতে খুব তাড়াতাড়ি এই রাস্তা ঠিক করা সম্ভব নয়। হতবর্ষায় মুখ ভার
কুমারটুলির মৃৎ শিল্পীদের গত দুদিন ধরে অঝোরে বৃষ্টি হচ্ছে শিলিগুড়ি সহ কোটা উত্তরবঙ্গে। পুজো আসতে আর মাত্র ১০ দিন বড় বড় প্যান্ডেল গুলিতে আয়োজকরা তৈরি হচ্ছেন প্রতিমা নিয়ে যাওয়ার জন্য, ছোট প্যান্ডেল গুলিতে যদিও এখনো একটু সময় হাতে আছে, তবে চূড়ান্ত সময় প্রায় এসে যাওয়ায় মুখ ভার শিল্পীদের। অনেকেই জানিয়েছেন প্রচুর সময় নিয়ে তৈরি করতে হয় দুর্গা প্রতিমা এবং কালী প্রতিমা, তাই বৃষ্টি এসে যাওয়ায় আমাদের চিন্তা ৩ গুণ বেড়ে গেছে। যদিও মনে করছি বৃষ্টি কমে যাবে, এটা একেবারে সাময়িক তবুও তিন দিনে আমাকে প্রচুর ক্ষতি হয়ে গেল। বৃষ্টি না কমলে কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাচ্ছে আমাদের পক্ষে। জানালেন তারা। রোদ না আসলে কখনোই প্রতিমা তৈরীর কাজ সম্পূর্ণ করা যায় না, তাই উদ্যোক্তাদের হাতে প্রতিমা তুলে দেওয়ার আগে রোড লাগা অত্যন্ত জরুরি। জানিনা কি হবে, সবই মায়ের ইচ্ছা জানিয়েছেন তারা। এই বছর যে ব্যবসা অনেকটাই পড়তি র দিকে যাবে সেটা অনুমান করেছিলেন তারা।। আর সেই ঘটনায় ঘটলো। ধসে অনিশ্চিত হয়ে পড়ল পুজোর জন্য পাহাড়ের ব্যবসা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *