বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কমবেশি বাঙালি মাত্রই ইলিশ ভক্ত। তাছাড়াও দুর্গা পুজোতে ইলিশ খাওয়ার একটা রেওয়াজ বাঙালির আছে। এদিকে বাংলাদেশ ইলিশ পাঠাবেনা এমন কথা জানিয়েছিল।

 

যদিও শেষে জানিয়েছে যে বাংলাদেশের নতুন সরকার ভারতে ৩ টন ইলিশ পাঠাতে রাজি হয়েছে। মাত্র ৩ টন ইলিশ। তা হলে বুঝতেই পারছেন, পদ্মার ইলিশের দাম পুজোর সময় ঠিক কেমন চড়া থাকবে! তবে এতে মন খারাপ করার কিছু নেই। বিকল্প ব্যবস্থা আছে। বাঙালির রসনার তৃপ্তি কি এবার পুজোতে হবে না? হবে, তবে তা স্বাদে ও গন্ধে ততটা ভালো না।

বাজারে গঙ্গার ইলিশ তো আছেই। তবে বর্ষার সময় বাংলার বাজারে আরও এক দেশের ইলিশের দেখা মেলে। বাজার ছেয়ে থাকে সেই দেশের ইলিশে। মায়ানমারের ইলিশের ভারতের বাজারে বিরাট চাহিদা। তবে বর্ষার এই সময় ছাড়া মায়ানমারের ইলিশ সেভাবে দেখা যায় না বললেই চলে। ফলে এখন বাজারে মায়ানমারের ইলিশের ছড়াছড়ি। সেই ইলিশের দামও অনেকেরই সাধ্যের মধ্যেই। কিন্তু ভোজন রসিকরা বলেন, এটা আসলে ‘দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানো।’ হরেক রকম সাইজ, হরেক রকম দাম। এটাই এই ইলিশের বিশেষত্ব। তবে পদ্মার ইলিশের মতো মায়ানমারের ইলিশে গন্ধ নেই। আকারে অনেকটা মিল আছে বটে। ইলিশ বিশেষজ্ঞারা বলছেন, মায়ানমারের ইলিশের পিঠ চওড়া হয় না, লম্বাটে হয়। পদ্মার ইলিশ গোলগাল, পেট একটু ভারী হয়। এখন যদি দেখে কিনতে পারেন, তাহলে পুজোর সময় পদ্মার ইলিশ আপনার কপালে জুটতেও পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *