বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এমনিতেই ৪/৫ দিন লাগাতার বৃষ্টি, তার মধ্যে রাজ্যকে না জানিয়ে প্রচুর জল ছেড়ে দিয়েছে ডিভিসি। সবটা মিলিয়ে হাওড়া, হুগলী, দুই মেদিনীপুর, বীরভূমের বেশিরভাগ অঞ্চল জলের তলাত। মুখ্যমন্ত্রী দুদিন বন্যা প্লাবিত অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
ডিভিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে চিঠি দেন প্রধানমন্ত্রীকে। তারপরেই তাঁর নির্দেশে ত্রাণ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেছেন প্রশাসন ও তৃণমূল কংগ্রেস।
দক্ষিণের আরামবাগ, খানাকুল, আমতা, বাগনান, উদয়নারায়ণপুর, পুরশুড়া, ঘাটাল, ডেবরা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গত দু’দিন ধরে জলবন্দি রয়েছেন মানুষ। নেই পানীয় জল, বিদ্যুৎ। অসহায় দুর্গতদের সাহায্যে সেইসব এলাকায় ত্রিপল, পানীয় জল, শুকনো খাবার নিয়ে ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রী ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা। শুক্রবার সকাল থেকেই হাওড়ার আমতায় দুর্গত মানুষদের ত্রাণ বিতরণ করলেন সাংসদ সাজদা আহমেদ। তৃণমূল কর্মীদের নিয়ে আমতার কুলিয়াঘাটে গিয়ে বন্যাকবলিত মানুষদের হাতে বিভিন্ন শুকনো খাবার, ফল, পানীয় জলের বোতল, বেবি ফুড তুলে দেন তিনি।
পাশাপাশি, খানাকুলের ঘোষপুর, কিশোরপুর ১, বন্দিপুর, কুলগাছি, কুলাট-সহ বিভিন্ন বন্যাকবলিত গ্রামে নৌকোয় করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন আরামবাগের তৃণমূল সাংসদ মিতালি বাগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা ব্লকের জোতহাড়ো, করন্ডা এলাকায় স্পিড বোটে করে জল, মুড়ি, বিস্কুট, দুধ, মোমবাতি-সহ ত্রানসামগ্রী বিলি করেন বিধায়ক হুমায়ুন কবির।
পাশাপাশি, এদিনও তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে আমতা ও উদয়নারায়ণপুরে দুর্গতদের হাতে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয় মন্ত্রী পুলক রায়ের তত্ত্বাবধানে। ভুটভুটি করে ঘাটালের মনসুকা এলাকায় শুকনো খাবার, ত্রিপল, ত্রাণ কিট-সহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতভর কাজ করে আমতা ও বাগনানের একাধিক জায়গায় জল ঢোকা রুখলেন সেচ দফতরের কর্মীরা।
স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা জলমগ্ন এলাকায় গিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহের কাজ করছেন। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বিভিন্ন জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে উদ্ধার করছে। আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট, তারকেশ্বর, জাঙ্গিপাড়া প্রভৃতি এলাকায় দুর্গত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে হুগলি জেলা পরিষদের তরফে।