বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এবং এশিয়ার ধনীতম ব্যক্তি মুকেশ অম্বানী সফট ড্রিঙ্কের ব্যবসায় বড়সড় কৌশল আনলেন।
৫০ বছরের পুরনো ক্যাম্পা কোলাকে বাজারে আনা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আর তা বিক্রির ক্ষেত্রেই নেওয়া হয়েছে নয়া কৌশল।মুকেশ অম্বানীর ব্যবসার ধরন অন্যদের থেকে অনেকটাই আলাদা। যেখানেই তারা ব্যবসায় হাত দেয়, সেখানেই কার্যত একটা মূল্য যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এমনকী টেলিকম সংস্থা Jio লঞ্চ করার সময়ও আমরা দেখেছি যে রিলায়েন্সের জন্য অন্যান্য সংস্থাগুলিকে তাদের দাম কমাতে হয়েছিল। ক্যাম্পা কোলাও এখন একই দিকে ইঙ্গিত করছে।
অনেকেই বলছেন, ৭০-৮০-র দশকে আমেরিকায় যে ‘কোলা যুদ্ধ’ শুরু হয়েছিল তা এখন ভারতেও ঘটছে। এবার শুধু মাঠই আলাদা নয়, প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও আলাদা। সেই খেলায় আছেন মুকেশ অম্বানী। রিলায়েন্স কর্তার নতুন কার্বনেটেড সফট ড্রিঙ্ক ব্র্যান্ড ক্যাম্পার সঙ্গে কোকা-কোলা এবং পেপসিকোর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয়ে গিয়েছে। উৎসবের মরসুম শুরু হওয়ার আগেই দামের যুদ্ধে ক্যাম্পা কোলাকে মাঠে নামিয়েছে রিলায়েন্স।ইকনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উৎসবের মরসুম শুরুর আগে রিলায়েন্স কনজিউমার প্রোডাক্টস নতুন ক্যাম্পা রেঞ্জ লঞ্চ করেছে। শুধু তাই নয়, পেপসি এবং কোকা-কোলার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মুকেশ অম্বানী তার সফট ড্রিঙ্ক ব্র্যান্ডের মূল্য প্রতিযোগী সংস্থার তুলনায় কমিয়ে প্রায় অর্ধেক করে দিয়েছেন।
এই সফট ড্রিঙ্কের বাজারে সবচেয়ে বেশি শেয়ার রয়েছে কোকা কোলার। পেপসি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এই বাজারে ক্যাম্পা কোলার প্রবেশকে কেন্দ্র করে বাকিরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। মনে করা হচ্ছে, সফট ড্রিঙ্কের বাজারে, পেপসি এবং কোকা কোলার মতো বড় সংস্থাগুলি এখন ক্যাম্পা কোলার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে চলেছে।
একই কৌশল আগেও নিয়েছেন অম্বানী। ২০১৬ সালে রিলায়েন্স যখন জিও চালু করেছিল, তখন টেলিকম সেক্টরের বড় খেলোয়াড়দের অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। একত্রীকরণ করে কিছু সংস্থা নিজেদের বাঁচাতে সক্ষম হয়। জিও বাজারে আসার পর এয়ারটেল, ভোডাফোন, আইডিয়া, ইউনিনর, বিএসএনএল-এর মতো সংস্থায় বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বলেই দাবি করেন বিশেষজ্ঞরা। এই সংস্থাগুলিকে তাদের রিচার্জ প্ল্যানের দাম কমাতে হয়েছিল। আকর্ষণীয় অফারও আনতে হয়েছিল। বিনামূল্যে ডেটা এবং ফ্রি কলিংয়ের মতো Jio-র অফারের কারণে অন্য সংস্থাগুলি পিছিয়েই পড়েছিল খানিকটা।