বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নতুন বাংলাদেশ, নতুন সরকার, নতুন পরিবেশ। হাসিনার বাংলাদেশের সঙ্গে এই বাংলাদেশের পার্থক্য অনেক।বাংলাদেশ সদ্য সমাপ্ত ছাত্র আন্দোলন শেষ পর্যন্ত চলে গিয়েছিল যে উগ্র জামাত গোষ্ঠীর হাতে তা অনেকেই স্বীকার করেছেন।

 

এই পরিস্থিতিতে সেই জামাত নেতার সঙ্গে চিনা রাষ্ট্রদূতের বৈঠক কিন্তু ভারতের কাছে বেশ ইঙ্গিতবহ। বাংলাদেশের জামাত-ই-ইসলামির সভাপতি শফিকুর আমিরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত সারলেন সে দেশে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। জামাতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ওয়েন, বাংলাদেশের এই কট্টরপন্থী দলকে সুসংগঠিত রাজনৈতিক গোষ্ঠী মনে করেন বলে জানিয়েছেন। ঢাকাতে অবস্থিত জামাত-ই-ইসলামির সদর দফতরে সোমবার চিনা রাষ্ট্রদূত, দলের প্রধান শফিকুর আমিরের সঙ্গে বৈঠকে সারেন। এই মুহূর্তে কেন এই বৈঠক তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই বৈঠকে কি কোনো ভারত বিরোধী চক্রান্ত হয়েছে?

এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আস্তানা গড়তে চাইছে চিন। তিস্তা প্রকল্প নিজের হাতে নিতে খুবই উৎসাহী চিন। অথচ সেই প্রকল্পের কাজের দায়িত্ব পেয়েছে ভারত। সূত্রের খবর,জামাত শীর্ষ নেতার সঙ্গে চিনা কূটনীতিকের এই বৈঠক ভারতের কাছে আশ্চর্যের লেগেছে। ২০১০ সালের পর এই প্রথম কোনও বিদেশী কূটনীতিক জামাতের অফিসে পা রাখলেন। পুলিশ জামাতের এই অফিসটি আগে সিল করে দিলেও, ছাত্র বিক্ষোভের জেরে অগাস্ট মাসে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরই অফিসটি আবার নতুন করে খোলা হয়েছে। এমনিতেই নতুন বাংলাদেশে একটা ভারত বিরোধী স্রোত বইছে। সেই অবস্থায় চিনের সঙ্গে এই বৈঠক ভারত খুব ভালো চোখে দেখছে না। এখন দেখার ভবিষ্যতে এর কোনো কারণ পাওয়া যায় কিনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *