বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঠিক এক মাস আগে আর জি কর কাণ্ডের নির্মম ঘটনার দ্বিতীয় শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। এদিনের শুনানিতে সলিসেটর আইনজীবী প্রথমে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বিকৃত করার অভিযোগ তোলেন।
ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এবং ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহপ্রকাশ় করল সিবিআই। তারইমধ্যে আইনজীবী দাবি করলেন যে ময়নাতদন্তের সময় যাঁরা হাজির চিলেন, তাঁরা প্রত্যেকেই উত্তরবঙ্গ লবির সদস্য। যে লবির বিরুদ্ধে রাজ্যে স্বাস্থ্য দুর্নীতি চক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। শুনানির শুরুতেই এসজি তুষার মেহতার এভাবে বড় অভিযোগ এনেছেন। রাজ্যের তরফে অনেক কিছুই লোকানো হয়েছে বলেই অভিযোগ তুললেন তুষার মেহতার।
প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, কলকাতা পুলিশ গোটা প্রসিডিংসের ভিডিও ফুটেজ সিবিআইকে দিয়েছে? কলকাতা পুলিশ পুরো সার্চ সিজারের ফুটেজ সিবিআই কে দিয়েছে? রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিবাল উত্তরে জানান দিয়েছে। সিবিআই-এর তরফে জানানো হয়, ৪টি ক্লিপে ২৭ মিনিটের ফুটেজ দেওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে মাত্র ২৭ মিনিটের চারটি ক্লিপিং দেওয়া হয়েছে। দেশের শীর্ষ আদালতে শুনানিতে সিবিআইয়ের তরফে সলিসিটর জেনারেল সোমবার বলেন, “সকাল সাড়ে ৯টার সময় দেহ দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। ফরেন্সিক রিপোর্ট বলছে, দেহ যখন পাওয়া গিয়েছিল, তখন তা অর্ধনগ্ন অবস্থায় ছিল। তাঁর দেহে ক্ষতচিহ্ন ছিল। ওই সব নমুনা এমস বা অন্য কোনও ল্যাবরেটরিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিবিআই।”প্রশ্ন তোলা হয় নিহত তরুণী ডাক্তারের ময়নাতদন্ত প্রক্রিয়া নিয়েও। সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, ময়নাতদন্ত কখন করা হয়েছে— সেই সময়ের উল্লেখ নেই। আইনজীবী ফিরোজ এডুলজি বলেন, “দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত শুধুমাত্র ১০ বার জিডি এন্ট্রি করা হয়েছে। পুরোটা পরে তৈরি করা হয়নি তো? অনেক রহস্য রয়েছে।” এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৭ সেপ্টেম্বর। ১৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে CBI কে পূর্ণাঙ্গ স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে বলে হয়েছে।