বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ঠিক এক মাস আগে যে মর্মান্তিক কান্ড ঘটেছে আর জি কর হাসপাতালে, তা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সর্বস্তরের মানুষ। প্রতিবাদের পথে নেমেছে সমস্ত নাগরিক মহল। কর্ম বিরতি পালন করছে জুনিয়র চিকিৎসকেরা। ফলে ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।
এই পরিস্থিতিতে শীর্ষ আদালত আজকে জুনিয়র চিকিৎসকদের দ্রুত কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিলেন। রাজ্যের তরফে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির প্রসঙ্গে আদালতে বলা হয়, “২৩ জন মারা গিয়েছেন। ৬০০০ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁরা কাজে ফিরছেন না। এই আদালত গত শুনানিতে কাজ শুরু করতে বলেছিল। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই যে কোনও জায়গায় প্রতিবাদ জানানো হচ্ছে। ৪১ জন পুলিশকর্মী আহত। এক জন পুলিশের চোখ নষ্ট হয়ে গিয়েছে।” এই অবস্থা চলতে থাকলে রাজ্যের আইন ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে রাজ্যের আইনজীবী।
এই বিষয় নিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন শীর্ষ আদালত। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়ে দিয়েছেন, চিকিৎসকদের অবিলম্বে কাজে যোগ দেওয়া উচিত। তাঁর মন্তব্য, “তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ হবে না, আমরা তো বলেছি। ওই ডাক্তারেরা কাজে যোগ না দিলে তাঁদের বিরুদ্ধে রাজ্য কোনও পদক্ষেপ করলে আমরা বাধা দিতে পারব না।” প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, আগামিকালের মধ্যে ডাক্তারদের কাজে যোগ দিতে হবে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না রাজ্য। প্রধান বিচারপতি সোমবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তায় প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ করতে হবে সিআইএসএফকে। রাজ্যের উদ্দেশে তিনি আরও বলেন, “হাসপাতালে কত বরাদ্দ করা হয়েছে, তা জানতে চাই না। ওই হাসপাতালে কী করা হয়েছে, সেটি জানতে চাই।” হাসপাতালে কী কাজ হয়েছে, সে বিষয়ে পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। শীর্ষ আদালত জানায়, এই মুহূর্তে জুনিয়র চিকিৎসকেরা কাজে যোগ না দিলে সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবা।