বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আর মাত্র কয়েকদিন বাকি দুর্গাপুজোর। ইতিমধ্যে অনেক পুজোর প্যান্ডেলের কাজ ও শুরু হয়ে গেছে। ভারত ছাড়াও খুবই আড়ম্বরের সঙ্গে দুর্গা পুজো হয় বাংলাদেশে। বাংলাদেশে এবছর এই পুজো নিয়ে ইতিমধ্যে তৈরি হয়েছিল কিছু সংশয়।
তার কারণ ওই দেশে এই মুহূর্তে একটা ভারত বিরোধী ও হিন্দু বিরোধী চোরা স্রোত বইছে। তবে প্রথমিকভাবে সেই সংশয় কাটিয়ে দিতে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতিই বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে ঢাকায় কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বী যুগ্মসচিব ও কর্মকর্তাদের নামের তালিকা চাওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের তরফে চিঠিতে সেই তালিকা উল্লেখ করলেও বঙ্গভবনে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠানের বিষয়টি বাদ পড়েছিল। এরফলে সংশয়, বিভ্রান্তি তৈরি হয় যে এবার বঙ্গ ভবনে বিজয়া দশমীর অনুষ্ঠান হবে কি না, তা ঘিরে। তবে শেষ পর্যন্ত পুজোর অনুমতি দিতে চলেছে ইউনিস সরকার।
বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যম এই বিষয়ে জানিয়েছে যে হিন্দুদের ধর্ম রক্ষার সমস্ত রকম সহযোগিতা করবে নতুন সরকার।সরকার বদল হলেও, দুর্গাপুজো বন্ধ হচ্ছে না। আগেও যেমন পুজো হত, এই বছরও সাড়ম্বরে পুজো হবে। এমনকী, বঙ্গভবনে বিজয়া দশমীতে যে শুভেচ্ছা বিনিময়ের অনুষ্ঠান হত, তাও হবে বলেই জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ আধিকারিক আসিফ আহমেদ। হাসিনা সরকারের পতনের পরে ও সাম্প্রতিক পরিবেশে সেই পুজো কতটা নিরাপদে হবে তা নিয়ে অবশ্য সংশয় থেকেই যাচ্ছে। ফলে সংশয় কেটেছে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের।