বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এমন প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূলপন্থী অনেকেই। কারণ কাঞ্চন মল্লিকের বক্তব্যর পরে প্রথমিকভাবে দল বা সরকারের পক্ষ থেকে কেউ প্রতিক্রিয়া দেন নি। পরে অবশ্য মাঠে নামেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
কাঞ্চন প্রকাশ্যে ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু ‘শব্দব্রহ্ম’ বলে একটা কথা আছে। যে শব্দ একবার বেরিয়ে যায় তা আসলে মনের গভীর থেকে বের হয়। বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক দল বা সরকারের মুখপাত্র না হলেও তিনি বিধান সভার একজন সদস্য। তাই মেরুদন্ডবাহী শিল্পী ও কলা-কুশলিরা একে একে প্রতিবাদের পথে নেমেছেন ।
এদিন চন্দন সেন সহ বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক শিল্পী তাঁদের পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন কাঞ্চনের মন্তব্যের জেরে। সুদীপ্তার এই পুরস্কার ফেরানোর কথা জেনে তাঁকে সাবাশি দিয়েছেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। সুদীপ্তা বলেন, “কাঞ্চনের মুখে পুরস্কার নিয়ে কটাক্ষ শোনার পর থেকে খুব অস্থির লাগছিল। আমি আমার স্বামী অভিষেককে যখনই জানাই যে আমি পুরস্কার ফিরিয়ে দিতে চাই ও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যায়। ঘরের দেওয়াল থেকে পুরস্কারের ছবিটিও সরিয়ে দিই। আমি অভিনয়ের বাইরে কিছু জানি না। ওটাই জানি, আজীবন ওটাই করে যাব। দর্শকদের ভালো লাগলে দেখবেন। নইলে আমার অভিনয় শেখানোর প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওটা দিয়ে আমার দিন ঠিক চলে যাবে।” এদিকে কনিনীকা সহ প্রায় সকলেই কাঞ্চনের বক্তব্য প্রবল ক্ষুব্ধ। কাঞ্চনের ক্ষমা চাওয়াটাও এক ধরনের অভিনয় বলেই মনে করেন সুদীপ্তা। তিনি বলেন,’প্রথমে বিষয়টা জেনে খুশি হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ঘরের ছেলে ঘরে ফিরল বোধহয়। কিন্তু পরে দেখলাম ধর্না মঞ্চের থেকেও খারাপ অভিনয় করেছে।’ আসল কথা ‘বিবেক’! সেটা হারিয়ে গেলে কি মানুষের আর কিছু থাকে?