বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আর জি কর হাসপাতালের প্রিন্সিপাল দীর্ঘদিন ধরেই শাসক শ্রেণীর পরোক্ষ মদতে আর জি করে একটি বিকল্প সরকার তৈরী করেছিলেন। সেই সরকারের প্রথম ও শেষ কথা বলেন ডাঃ সন্দীপ। আর প্রথম ও শেষ উদ্দেশ্যে ‘দুর্নীতি’ ও ‘তোলাবাজি’।

 

অবশেষে সোমবার সেই অভিযোগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তবে তিনি একা নন, তাঁর পাশাপাশি আরও তিনজন গ্রেফতার হয়েছেন বলে সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে। এরা সকলেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ হিসাবেই পরিচিত। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছেন আফসার আলি, সুমন হাজরা ও বিপ্লব সিংহ। এর মধ্যে আফসার হলেন সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী। অপরদিকে, সুমন ও বিপ্লব সিংহ ভেন্ডার হিসাবে পরিচিত। প্রসঙ্গত এরাই ছিলেন সন্দীপের সাম্রাজ্যর সেনাপতি।

১৬ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। সিবিআই-এর দুর্নীতি দমন শাখার হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজি করের প্রাক্তন এই অধ্যক্ষ। আর তাঁর গ্রেফতারির খবর পৌঁছতেই লালবাজারে উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসকরা।

এর আগে ২১ অগাস্ট সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তোলা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তভার, ইডির হাতে দেওয়ার আবেদন করে, কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজেরই প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি। এরপর রাজ্য সরকারের তৈরি SIT-র হাত থেকে তদন্তভার নিয়ে গত ২৩ অগাস্ট সিবিআই-কে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আর জি কর মেডিক্যালের প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি ডেকেও একাধিক দিন কথা বলে সিবিআই। সন্দীপ গ্রেফতারের পরে ডাঃ শান্তনু সেন বলেন , ‘মানুষ বিচার না দিলে ঈশ্বর বিচার করেন’। আর তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় লেখেন, ‘মিডল উইকেট পড়েছে। এরপর?’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *