বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আমরা এক কথায় এই বিলকে অপরাজিতা বললেও পুরো বিলটি হলো -”অপরাজিতা উইমেন চাইল্ড (ওয়েস্ট বেঙ্গল) ক্রিমিনাল ল অ্যামেনমেন্ট বিল ২০২৪।” আমরা জানি, আর জি করের মর্মান্তিক ঘটনার পরেই অপরাধীর ফাঁসির দাবিতে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এবার আজ, মঙ্গলবার বিধানসভায় পেশ ও পাশ হতে চলেছে সেই নারী সুরক্ষা বিল।

 

ভারতীয় ন্যায় সংহিতা ও ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার, যৌন নির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণ সংক্রান্ত যে আইন রয়েছে। বাংলার ক্ষেত্রে তার কিছু সংশোধন আনা হচ্ছে। চটজলদি বিচারের জন্য শুধুমাত্র বাংলার ক্ষেত্রে কয়েকটি ধারা যোগ করা হচ্ছে।

ইতিমধ্যে সোমবার বিধায়কদের মধ্যে সেই বিলের খাসড়া দেওয়া হয়েছে। নতুন এই বিলটিতে দেখা যাচ্ছে অন্তত কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ধারা দেওয়া হয়েছে।

নতুন বিলে দুদিক থেকে প্রচুর পরিবর্তন হয়েছে। আইনগত বিধান ও শাস্তির বিধান।

আইনগত বিধান –

* দ্রুত বিচারের বিধান।
* ডেডিকেটেড বিশেষ আদালত ও ডেডিকেটেড তদন্তাকারী দল।
* নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। নূন্যতম সাতদিনের মধ্যে শেষ করতে হবে গুরুতর অপরাধের ক্ষেত্রে। এটা আগে ছিল নূন্যতম এক মাস।
* যেখানে মূল আইনে এক বছরের মধ্যে শাস্তি দেওয়ার কথা ছিল। সেটা সংশোধন করে এক মাসের মধ্যে করতে বলা হল।
* মূল আইনে কোনও থানায় ঘটনা নথিভুক্ত করার পর তা দুই মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা ছিল। এই সংশোধনীতে আছে এক্ষেত্রে তা ২১ দিনের মধ্যে শেষ করতে হবে।

শাস্তির বিধান প্রস্তাব হয়েছে –

* ধর্ষণ ও গণধর্ষণে আজীবন কারবাস ও জরিমানা।
* ধর্ষণ, খুন বা নির্যাতিতা কোমায় চলে গেলে মৃত্যুদন্ড।
* এসিড হামলা বা ঘটনার পুনরাবৃত্তি হলে আজীবন কারবাস।
* নির্যাতিতার পরিচয় প্রকাশ, বিনা অনুমতিতে মামলা করলে ৩-৫ বছর জেল।
* নাবালিকা ধর্ষণ – ১৬ বছরের অণুর্দ্ধ হলে ২০ বছর কারাবাস ও ১২ বছরের কম হলে সারা জীবন কারবাস।
* ১৮ বছরের কমে গণধর্ষনে সারাজীবন কারবাস।

এভাবেই নতুন কড়া আইন করে এই অপরাধ কমানোর দিকে এগোতে চাইছে রাজ্য সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *