বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পুরান মতে বৈকুণ্ঠর দ্বার রক্ষী দুই ভাই জয় ও বিজয় একদিন বিষ্ণুর দ্বারে পাহারা দিচ্ছেন । তখন লক্ষ্মী এসে বলেন, বিষ্ণু বিশ্রাম করছেন। এখন যেন কেউ ভিতরে না প্রবেশ করে। সেই নির্দেশ মতো বিষ্ণু ভক্ত জয় ও বিজয় পাহারায় রত। ঠিক তখনই ব্রহ্মার মানসপুত্র চার ঋষি বিষ্ণুর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
জয় ও বিজয় চার ঋষিকুমারকে চিনতে পারেননি। জয় ও বিজয় তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়ায় ব্রহ্মার মানসপুত্ররা অভিশাপ দেন। সেই অভিশাপ শুনে জয় ও বিজয় কাতর হয়ে পড়েন দুঃখে। এমন সময় সমস্ত ঘটনা শুনে বিচলিত হয়ে বিষ্ণু বলেন, অভিশাপ যখন দিয়েছেন, তখন তো তা ফালবে। তবে শাস্তি কিছু কমানো যেতে পারে।
তখনই চার মানস পুত্রের সঙ্গে কথা বলে বিষ্ণু জয় ও বিজয়কে দুটি বিকল্প দেন। হয় তাদের মর্ত্য সাত জন্ম বিষ্ণুর সেবক হিসাবে জন্ম নিতে হবে, অথবা তিন জন্ম বিষ্ণুর শত্রু হিসাবে জন্ম নিয়ে বিষ্ণুর হাতে বধ্য হতে হবে। তখন জয় বিজয় দ্বিতীয় প্রস্তাব মেনে নেয়।
পুরান মতে,বিষ্ণুর শত্রু হিসেবে প্রথম জন্মে জয় ও বিজয় হয়েছিলেন হিরণ্যকশিপু ও হিরণ্যক্ষ। তাঁরাও ছিলেন দু-ভাই। দুজনেই ছিলেন অপরিসীম ক্ষমতায় অধিকারী। নারায়ণকে তাই জোড়া অবতার হয়ে এসে দু-ভাইকে বিনাশ করতে হয়েছিল।
দ্বিতীয় জন্মে রাবণ ও কুম্ভকর্ণ হিসেবে জন্ম নিয়েছিলেন জয় আর বিজয়। রাবণ অত্যাচারী হলেও কুম্ভকর্ণ ছিলেন ধার্মিক। তবু দাদার কথায় তিনি বিষ্ণুর বিরোধিতা করতে যুদ্ধে নেমেছিলেন। শেষে উভয়েই বিষ্ণুর সপ্তম অবতার রামের হাতে নিহত হন।
এবং তৃতীয় জন্মে জয় ও বিজয় জন্ম নেন চেদিরাজকুমার হিসেবে। তাঁরা ছিলেন শ্রীকৃষ্ণের পিসতুতো ভাই। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁরা ছিলেন কৃষ্ণবিরোধী। তাঁদের নাম ছিল শিশুপাল ও দন্তবক্র। কৃষ্ণের হাতে তাঁরা দুই ভাই নিহত হন। তারপরই মুক্তিলাভ করেন জয় ও বিজয়।