বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় তীব্র হচ্ছে প্রতিবাদ। রবিবার নাগরিক সমাজের একের পর এক মিছিলকে কেন্দ্র করে উত্তাল শহর কলকাতা। বিচার চেয়ে আওয়াজ উঠছে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে। যা নিঃসন্দেহে একেবারে চাপ বাড়াচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের উপরে।

আর এর মধ্যেই (RG Kar Hospital Case) ফের একবার কার্যত বোমা ফাটালেন সুখেন্দু শেখর রায় (Sukhendu Sekhar Ray)। আরজি কর কাণ্ডে পর মহিলাদের রাত দখলের লড়াইকে সমর্থন জানিয়েছিলেন।

এমনকি ঘটনায় (RG Kar Hospital Case) কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে জেরা করারও দাবি জানান। যা নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। মাঝে কয়েকদিন চুপ থাকলেও আজ ফের সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদের। জুলাইয়ে বাস্তিল দুর্গ ধ্বংসের কথা মনে করিয়ে করলেন পোস্ট। যেখানে সুখেন্দু শেখর রায় লিখছেন, ‘জুলাই ১৭৮৯! বাস্তিল দুর্গ মাটিতে মিশিয়ে দিয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। ঐতিহাসিক ফরাসি বিপ্লবের জন্ম হয়’। বিক্ষোভ-আন্দোলনের আবহেই হঠাত করেই তৃণমূল নেতার (Sukhendu Sekhar Ray) এই পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা।

যদিও এই বিষয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি সুখেন্দু শেখর রায়। শুধুমাত্র লেখার সঙ্গে একটি ফরাসি বিপ্লবের ছবি পোস্ট করেছেন। বলে রাখা প্রয়োজন, আর আগে আরজি কর কাণ্ড নিয়ে মুখ খুলে শাসকদলের তোপের মুখে পড়তে হয় বর্ষীয়ান এই নেতাকে। এরপরও নিজের অবস্থানে অনড় ছিলেন। স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আমি কখনই অসামজিক জীব না, সব কিছু দেখেও চুপ করে থাকার মানুষও নয়। আর এদিন শহর যখন প্রতিবাদ-বিচারের দাবিতে মুখর, সেই সময় চাঞ্চল্যকর পোস্ট।

তাহলে কী তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে সুখেন্দু শেখর রায়ের? অন্তত এহেন পোস্টের পর এমনই দাবি রাজনৈতিকমহলের একাংশের। শাসকদল তৃণমূলের তরফেও কোনও বক্তব্য এখনও পর্যন্ত এই বিষয়ে পাওয়া যায়নি।

বলে রাখা প্রয়োজন, ‘জুলাই ১৭৮৯। ইতিহাসে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিন। দীর্ঘ বিপ্লবে ফ্রান্সে রাজতন্ত্রের পতন ঘটে। বাস্তিল দুর্গ দখল করে সে দেশের সাধারণ মানুষ। মধ্যযুগে বাস্তিল দুর্গ হয়ে ইয়ঠেছিল শোষকের প্রতীক। শোষণ, নিপীড়নের ফলে ফ্রান্সের মানুষের মধ্যে তিলে তিলে জমা হয় ক্ষোভ। আর সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটে একদিন। আর সেদিনটা ছিল ১৪ জুলাই। মানুষ যে যা অস্ত্র পেরেছেন নিয়ে দলে দলে দুর্গকে ঘিরে ফেলে। প্রবল আন্দোলনে একটা সময় রাজতন্ত্রের পতন ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *