বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বুধবার সকালে CISF (Central Industrial Security Force) এর DG চলে এসেছেন আর জি কর হাসপাতালে। তিনি প্রাথমিক বৈঠক ও তদারকি করে গেলেন হাসপাতালের পরিস্থিতি। আমরা জানি শীর্ষ আদালতের মঙ্গলবারের নির্দেশ।

কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার জন্য চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন শীর্ষ আদালত। নৃশংস খুনের ঘটনার পরেই গত ১৪ অগস্ট হাসপাতালে তাণ্ডব চালায় কিছু বহিরাগত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার পর হাসপাতালে চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে জোরালো প্রশ উঠে যায়। বিষয়টির গুরুত্ব বিচার করে এবার আরজি কর হাসপাতালে CISF মোতায়েন করার নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, ‘আমরা আরজি কর হাসপাতালে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করছি।’ সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে প্রমাণিত যে রাজ্য পুলিশের উপর এই মুহূর্তে আস্থা রাখতে পারছে না শীর্ষ আদালত। এটা রাজ্যের পক্ষে ও পুলিশ মন্ত্রীর পক্ষে মোটেই খুব গৌরবের নয়।

১৪ আগস্ট যখন সারা রাজ্য জুড়ে ‘মহিলাদের পথ দখল’ আন্দোলন চলছে, তখন কয়েক হাজার দুষ্কৃতী আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে তান্ডব চালায়। অভিযোগ তারা প্রধানত খুনের প্রমাণ লোপাট করতেই সেই তান্ডব চালায়। সেই ঘটনাও রাজ্য পুকিশের ভূমিকা ছিল শুধুই দর্শক। তাতে খুবই ক্ষুন্ন হন শীর্ষ আদালত। ঘটনার পর থেকেই হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সুপ্রিম কোর্টের আবেদনকে স্বাগত জানিয়ে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তাঁদের সন্দেহ এই ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছেন। সেক্ষেত্রে, এখনও নৃশংশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দোষীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাই ডাক্তারদের নিরাপত্তা দিতেই আসছে CISF।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *