বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: আরজিকর মেডিকেল কলেজে কর্মরত এক মহিলা ডাক্তারকে খুন করা হয় শুক্রবার। অভিযোগ তাঁকে ধর্ষণ করে খুব করা হয়েছে। উত্তাল হয়ে ওঠে ওই কলেজের ছাত্র,চিকিৎসক সহ সমস্ত কলকাতা। খুবই বিড়ম্বনায় পরে রাজ্য প্রশাসন SIT গঠন করে।
শুরু হয় তদন্ত। উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত খুনের মামলা রুজু করেছে। মহিলা চিকিৎসকের রহস্যমৃত্যুর পিছনে কাদের হাত রয়েছে, তা খুঁজে বের করতে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে খুনের ইঙ্গিতই পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া ধর্ষণের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়েছে রিপোর্টে।
তদন্তে নেমেই পুলিশ শুরু করে জিজ্ঞাসবাদ। বৃহস্পতিবার রাতে যারা ডিউটিতে ছিলেন তাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে পুলিশের।
সেদিন ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যাঁরা নাইট ডিউটিতে ছিলেন, রাতে যাঁরা ওই বিল্ডিং-এ বা তার আশপাশে উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককেই জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি আর জি কর হাসপাতালের একজন নিরাপত্তারক্ষী। যদি ওই ব্যক্তি সরাসরি হাসপাতালের কর্মী নন বা পুলিশের লোকও নন। থার্ড পার্টি অর্থাৎ বেসরকারি কোনও সংস্থা থেকে ওই ব্যক্তিকে নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ডিউটি ছিল তাঁর। তাঁকে প্রশ্ন করলে, তাঁর উত্তরে বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি পুলিশের। সেই কারণে রাতেই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে থানায়। চারিদিকে চাইদিকে চলেছে উত্তাল আন্দোলন। এই মুহূর্তে অবস্থানে আন্দোলনকারীরা। লাল বাজার থেমে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।