বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: কোনো শাসকই চিরস্থায়ী নয়। অবসান তো ঘটবেই। সেই পথ ধরেই বাম আমলের অবসান ঘটে। কিন্তু বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য আজও সমানভাবে বাংলার মানুষের প্ৰিয়। তার অন্যতম কারণ তিনি স্বঘোষিত নয়, যথার্থ অর্থেই ছিলেন ‘সততার প্রতীক।

‘ ২০১৯ সালে শেষ তিনি বামফ্রন্টের ব্রিগেড সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন। তারপর থেকে শারীরিক কারণে তিনি আর সভা সমিতিতে যেতে পারেন নি। আসলে, আজও অনেক বামপন্থী বিশ্বাস করেন, সাদা চুলের ওই ভদ্রলোক যদি একবার সুস্থ হয়ে মাঠে নামতেন তাহলে হয়তো ভোটের হিসেবে শূন্য যাওয়া বামেরা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারত। ২০১১ সালে যাদবপুর কেন্দ্রে হারার পর থেকেই সেভাবে দলের সক্রিয় কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। আসলে বুদ্ধবাবুর ফুসফুসের সমস্যা ছিল বহুদিনের। শেষ কয়েক বছর সিওপিডি-র সমস্যার জন্য তিনি বিছানা থেকে উঠতে পারতেন না। সেভাবে দলের মিটিং-মিছিল গুলিতেও যেতে পারতেন না ভগ্নস্বাস্থ্যের জন্য। কিন্তু বামপন্থা ছিল তাঁর চেতনায়।

২০১১ পর থেকে ধীরে ধীরে বাম শক্তি তার জনপ্রিয়তা হারাতে থাকে। এই মুহূর্তে বাংলা বিধানসভায় সিপিএম শূন্য কিন্তু বাংলায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের জনপ্রিয়তা অটুট। সেজন্যই তো এতদিন পরে এসেও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর লেখা বই কলকাতা বইমেলায় ‘বেস্ট সেলার’তকমা পায়। আজও সোশ্যাল মিডিয়ায় বামপন্থীদের দেখা যায় বুদ্ধবাবুকে নিয়ে লেখালিখি করতে। রাজ্য যখনই কোনও ‘অনাচার’, ‘অনিয়ম’ হয়েছে, তখনই বামপন্থীরা তাঁর উদাহরণ দিয়ে বলেছেন, ‘কই বুদ্ধবাবুর আমলে তো এমনটা হতো না।’ এই মুহূর্তে বাংলার আকাশের একটা সম্প্রদায়িক অস্থিরতা তৈরী হতে চলেছে, আর তখনই মনে পরে বুদ্ধুদেব ভট্টাচার্যের সেই অমোঘ উক্তি -“দাঙ্গা করতে এলে মেরে মাথা ভেঙে দেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *