বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেখ শাহজাহান গ্রেফতারের প্রসঙ্গ নিয়ে বক্তব্য রেখেছেন তিনি।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সন্দেশখালিতে অভিষেক যাবেন। এমন কথা রবিবার বললেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।

শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতারের বিষয় নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দিকে বল ঠেললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেখ শাহজাহানকে রাজ্য প্রশাসন, তৃণমূল আড়াল করছে না। যদি কেউ আড়াল করে থাকে তা হল বিচার ব্যবস্থা। এই ভাষাতেই বক্তব্য রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আদালতে স্থগিতাদেশ চেয়েছে ইডি। রাজ্য প্রশাসন চায়নি। হাইকোর্ট প্রশাসনের হাত বেঁধে রাখলে শাহজাহান কীভাবে গ্রেফতার হবে? রাজ্য প্রশাসনের হাত-পা বেঁধে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এমন মন্তব্য করলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ।

উত্তম সর্দার, শিবু হাজরাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নথিভুক্ত হয়েছে। তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধ অভিযোগ এসেছে। মন্ত্রিসভা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাহলে কে শেখ শাহজাহান?

সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে পুলিশ ধরে এনেছিল। তাহলে শেখ শাহজাহানের কে? কোনও সংশয় রাখার প্রশ্ন নেই। তৃণমূল কংগ্রেস শেখ শাহজাহানকে আড়াল করছে না। ইডিকে দীর্ঘ সময় দেওয়া হয়। আর পুলিশকে ১৫ দিন সময় দেওয়া যায় না? এমনই মন্তব্য করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রোজ সন্দেশখালি যাতে শিরোনামে থাকে। রোজ যাতে আগুন জ্বলে। সেজন্যই ব্যবস্থা করা হয়েছে। আদালত স্থগিতাদেশ তুলে দিক। তারপর পুলিশ যদি করতে না পারে, তাহলে একই প্রশ্ন তার কাছে এসে করুন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

দিল্লিতে বসে বাংলায় আগুন জ্বালানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে শেখ শাহজাহানের অনেক ছবি রয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছাড়ার পর শেখ শাহজাহানের নামে কোনও কথা বলেননি কেন? ২০১৬ সাল পর্যন্ত সিপিএমের বিধায়ক ছিলেন সন্দেশখালিতে নিরাপদ সর্দার। তখন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে কোনও কথা বলা হয়নি কেন? প্রশ্ন অভিষেকের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *