বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পুলিশের বাধায় প্রথমবার ব্যর্থ হলেও, রবিবার রাজ্যপালের সঙ্গে বিজেপির ঘরছাড়াদের নিয়ে সাক্ষাৎ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন তাঁর সঙ্গে শ’খানের ঘরছাড়া ছিলেন। তবে বিরোধী দলনেতা দাবি করেছেন, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অন্তত পনেরো হাজার বিজেপির নেতা-কর্মী ঘরছাড়া।
বিরোধী দলনেতা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আশ্বাস দিয়েছেন, তিনি যা করার করবেন। শেষ পর্যন্ত তিনি লড়াই চালাবেন বলে জানিয়েছেন। এদিন রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের পরে শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন রাজ্যে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন রাজ্যপালের সামনে রাজ্যে সংবাদ মাধ্যমের ওপরে হামলার একাধিক ঘটনা তুলে ধরেছেন বলে জানিয়েছেন। ঘটনার স্টিল ভিডিও ছবি রাজ্যপালকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ভিকটিমদের জন্য তাঁর দরজা খোলা কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর জন্য বন্ধ।
বিজেপির নেতা ও কর্মীদের পাঁচ হাজারের বেশি রেশন কার্ড নিয়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তিনি ঘরছাড়াদের রক্ষায় রাজ্যপালের কাছে একাধিক দাবিও রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে,
কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দিয়ে ঘরছাড়াদের বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনীকে রাজ্যে দুর্গাপুজো পর্যন্ত রাখতে হবে।
আগের রাজ্যপালের মতো (২০২১-এর বিধানসভা ভোটের পরে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছিলেন) এলাকা পরিদর্শন করতে হবে।
ইতিমধ্যেই বিরোধী দলনেতা ভোট পরবর্তী হিংসা পরিদর্শনে কোচবিহারে গিয়েছিলেন। এদিন তিনি অভিযোগ করেছেন, কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত সিতাই, দিনহাটা, নাটাবাড়ি, কোচবিহার সাউথ-সহ পাঁচ কেন্দ্রে বিজেপি নেতা কর্মীদের বাড়িতে গরু-ছাগলের মতো কোনও গবাদি পশু নেই।
বিরোধী দলনেতা এদিন গত বৃহস্পতিবার ঘরছাড়াদের নিয়ে রাজভবনের বাইরে পুলিশের আটকে দেওয়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যে কারণে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃত সিনহার একলাসে তাঁদেরকে আবেদন করতে হয়েছিল। ওই দিন তিনি বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্যাসিবাদ জরুরি অবস্থাকেও হার মানিয়েছে।