বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পদে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কর্ম সংস্থান সম্পর্কে বিগত দিনে একাধিক সম্ভাবনার কথা উঠে এসেছে। এবার আরও বড় সম্ভাবনার কথা বলা হল।
ভারতে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি নতুন কর্মসংস্থান তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। এই সময়ের মধ্যে অর্থনীতি জিডিপিতে ৩.৩ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করতে পারে। শিল্প সংস্থা পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (পিএইচডিসিসিআই) মঙ্গলবার এই কথা বলেছে।
শিল্প চেম্বার কেন্দ্রের নতুন এনডিএ সরকারে ১০০ দিনের এজেন্ডার জন্য ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের পরামর্শ দিয়েছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি, উৎপাদনে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি, রফতানির গতিপথকে শক্তিশালী করা। প্রমুখ বিষয়গুলো রয়েছে।
এছাড়ায় দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির শহরের অত্যাধুনিক পরিকাঠামো, কৃষিকে শক্তিশালী করার নীতি, মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি মোকাবিলা, ডিজিটাল অর্থনীতি বৃদ্ধি, নারীদের শক্তিশালী করা প্রভৃতি বিষয়ে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ও পরিবেশ সুরক্ষার দিকেও জোর দিতে বলা হয়েছে।
বাড়তে থাকা রাজনৈতিক দুরবস্থা এবং অনিশ্চিত বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিবেশ রয়েছে। তার মধ্যেও ভারতে ২০২২ থেকে ২০২৪ মধ্যে আট শতাংশের বেশি (গড়) বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০৩০ সালের মধ্যে ১০ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরির জন্য একটি রোডম্যাপ প্রস্তাব করা হচ্ছে। যার মধ্যে এমএসএমই (MSME), বৃহৎ সংঘবদ্ধ এবং স্টার্টআপ সহ অনেকগুলি জায়গা রয়েছে। জানিয়েছেন,
পিএইচডিসিসিআই ( PHDCCI) এর সভাপতি
সঞ্জীব আগরওয়াল।
উৎপাদন শক্তিকে বাড়ানোর চেষ্টা করা হয়।
ব্যবসা করার খরচ কমিয়ে উৎপাদন বৃদ্ধিকে দ্বিগুণ অঙ্কে বাড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। জানিয়েছেন সঞ্জীব আগরওয়াল। দেশে শিল্প উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি বাড়াতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নতুন শিল্পনীতি। এমনই দাবি করা হচ্ছে।
ভারতের রফতানি গতিপথকে শক্তিশালী করতে, বিশ্ব রফতানিকে শক্তিশালীর জন্য সরকার পদক্ষেপ করুক। রফতানি অংশ বাড়াতে ৭৫ টি পণ্যের উপর লক্ষ্য দিতে হবে। চেম্বার এজেন্ডায় এই বিষয়টি সুপারিশ করেছে।
কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল অর্থনীতিকে চাঙা করার জন্য একটি কৌশল প্রণয়ন করবে।এআই নেতৃত্বাধীন প্রযুক্তির যুগে সাইবার নিরাপত্তা বাড়াবে। এই কথাও বলা হয়েছে।